জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের রেখিরপাড়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের মাছ চাষ করা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। এতে ঐ গ্রামের বাসিন্দা মাছ চাষি আমিনুল ইসলাম বুরুর প্রায় আনুমানিক পাঁচ লক্ষ টাকার মাছ মরে ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এমন অভিযোগ করে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভোক্তাভূগীর পরিবার আমিনুল ইসলাম বুরুর স্ত্রী মোছাঃ খাদিজা বেগম। খাদিজা বেগম তার অভিযোগে জানান আসামি মোঃ সোলাইমান ও মোহাম্মদ আলী মোল্লার নিকট হইতে দুই বছর যাবৎ আমার স্বামী আমিনুল ইসলাম বুরু চল্লিশ হাজার টাকার বিনিময়ে পুকুর মৌখিকভাবে লিজ নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করিয়া আসিতেছে। আমার স্বামী বাড়িতে না থাকার কারণে পুকুর দেখা শুনার জন্য তদারকির দায়িত্ব রাখা হয় স্বাক্ষী রহমত আলী মেন্দুকে। পূর্বের বিরোধ কে কেন্দ্র করিয়া গত ৫ নভেম্বর রোজ শনিবার ২০২২ইং তারিখে ভোর অনুমান ৪ টার দিকে আসামি নুরনবী অন্যান্য আসামিদের প্ররোচনায় উক্ত মাছ চাষ করা পুকুরে মাছ মারার বিষ দিয়ে চলে যায়। তখন উক্ত ঘটনার বিষয়টি স্বাক্ষী মোঃ রহমত আলী মেন্দু দেখিয়া ফেলিলে আমাদের কে মোবাইল ফোনে অবগত করিলে আসামি নুরনবী স্বাক্ষী মোঃ রহমত আলী মেন্দুর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর করে এবং তার মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দেয়। উক্ত বিষ পুকুরে প্রয়োগ করার কারণে আমাদের পুকুরে চাষ করা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্ভ, গ্লাস কার্ভ, সরপুটি, কার্ভ জাতীয় ইত্যাদি প্রজাতির মাছ মরিয়া পানিতে ভাসিয়া উঠে এবং অনেক মাছ পানি নীচে ডুবিয়া যায় এতে আমাদের ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এই ঘটনায় মেলান্দহ থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে বলে মেলান্দহ থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস,আই এনামুল হক সিদ্দিকী জানান, ঘটনা তদন্ত চলছে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।