নিজেদের স্বার্থেই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা হচ্ছে। তাছাড়া এই সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে চায় নয়া দিল্লি। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মস্কোতে এসব কথা বলেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। পশ্চিমাদের আপত্তি স্বত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেলের আমদানি বাড়িয়েছে ভারত। এমন প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, বিভিন্ন কারণে জ্বালানির বাজারে চাপ তৈরে হয়েছে। ভারত হচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় বড় ভোক্তা দেশ, যেখানে আয়ও খুব বেশি নয়। তাই আমাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে ভারতীয় ভোক্তাদের আশ্বস্ত করা। আন্তর্জাতিক বাজারে যেখানে সুবিধা পাওয়া যাবে সেখান থেকে আমদানি অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা পর্যালোচান করতেই আমরা এখানে। দীর্ঘমেয়াদে ও টেকসইভিত্তিতে এই সম্পর্ক কীভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরেই দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এতে দুই দেশই লাভবান হচ্ছে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বার্থ ও প্রতিশ্রুতি দেখা উচিত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এতে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তায় উদ্বেগ বাড়ছে। তাছাড়া এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের দামও বেড়েছে। মূলত মস্কোর ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তেলের আমদানি নির্ভর করবে জাতীয় স্বার্থ ও ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে। এদিকে এখন পর্যন্ত রাশিয়াবিরোধী কোনো পদক্ষেপেও অংশ নেয়নি ভারত। বরং শান্তি ও স্থিতিশীলতার কথা জানানো হয়েছে দেশটির পক্ষ থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের আবহে রাশিয়াকে নানাভাবে কোণঠাসা করতে শুরু করে পশ্চিমী দেশগুলো। এক পর্যায়ে রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কেনায় নয়া দিল্লির সমালোচনায় সরব হয় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।