শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৫ অপরাহ্ন

নেত্রকোনা আধুনিক পৌরসভা উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন দেওয়ান হাফিজ উদ্দিন অপল

নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

নেত্রকোনা পৌরসভায় নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। যদিও ২০০২১ সালে পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে । তবে নেত্রকোণা পৌরসভাকে গিরে আগাম জনপ্রতিনিধিরা মাঠে নেমে পরেছেন। আগামী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। জেলা আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা দেওয়ান হাফিজ উদ্দিন অপল। তিনি ১লা এপ্রিল ১৯৬২ সালে নেত্রকোণা জেলা শহরের সাতপাই এলাকার এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম দেওয়ান আব্দুল আজিজ,মাতা মরহুমা দেওয়ান নূরজাহান বেগম, তিনি আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার ৫ ভাই ৩ বোন, বড় ভাই দেওয়ান ওমর ফারুক নেত্রকোণা জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা, তার ছোটবোন দেওয়ান আলেয়া আজম, (টপি) বর্তমানে সংসদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা বিভাগ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি জনাব মির্জা আজম এমপি,র সহধর্মিনী, তার আপন ভাইপো দেওয়ান রনি নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ আহবায়ক ও দেওয়ান জনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার তিন মেয়ে বড় মেয়ের স্বামী রাশেদুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। মধ্যম মেয়ের স্বামী মেজর মামুন বর্তমানে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি ভাটিয়ারি চট্রগ্রামে কর্মরত আছেন। দেওয়ান হাফিজ উদ্দিন অপল তিনি বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেত্রকোণা জেলা শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য, সাবেক এ.জি.এস নেত্রকোণা সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদ। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে বিভিন্ন পদে রয়েছেন। নেত্রকোণা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক নেত্রমনি সমাজ কল্যাণ সমিতি, সাধারণ সম্পাদক এসো মিতালি পাতাই (শিশু-কিশোর সংগঠন) এর সাথে রয়েছেন তিনি সাবেক সাধারণ সম্পাদক ১নং ওয়ার্ড (সাতপাই) আওয়ামীলীগ কমিটি) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেত্রকোণা সদর উপজেলা, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক নেত্রকোণা সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদ, সাবেক সহ-সভাপতি জেলা ছাত্রলীগ নেত্রকোণা, সাবেক ১নং সদস্য জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রকোণা জেলা শাখা, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক ১নং সদস্য, বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নেত্রকোণা। এছাড়া ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত সহ সভাপতি প্রার্থী নেত্রকোণা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ। তিনি ১৯ ৭৮ সনে নবম শ্রেণীর ছাত্র থাকাবস্থায় সাতপাই ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ লাভ করেন। ১৯৮০ সালে ১০ম শ্রেণীর ছাত্র অবস্থায় ঐ ওয়ার্ডের সভাপতির পদ লাভ করেন এবং জিয়া সরকারের পতনের আন্দোলনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে নেত্রকোণা সদর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় সক্রীয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮১ সালে নেত্রকোণা সরকারি কলেজ এবং নেত্রকোণা জেলা ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার জন্য বিভিন্ন কর্মকান্ডে অক্লান পরিশ্রমের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে ১৭ মে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ^নন্দিত জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করার দিন জেলা আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে বিমান বন্দরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। ১৯৮২ সনের ৬ই মার্চ নেত্রকোণা সরকারী কলেজে এইচএসসি ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত অবস্থায় কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সহ-সম্পাদকের পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বৈরাচার বিরোধী প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে সকল কাজ সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সনে এরশাদ বিরোধী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পালন করার সময় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। ১৯৮৫সনে ২৭ শে সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে স্বৈরাচার বিরোধী মশাল মিছিল করতে গিয়ে এরশাদ সরকারের গুন্ডা বাহিনীর দ্ধারায় জেলা ছাত্রলীগের গ্রস্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহ নূর ইসলাম তিতাস চোরার আঘাতে নিহত হন। এই মিছিলে ছাত্রনেতা হিসেবে নেতৃত্ব দেন। ১৯৮৬ সালে নেত্রকোণা সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদে নির্বাচন করেন। ১৯৯০ সালে এরশাদ পতন আন্দোলনে গণঅভ্যূথানে জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সকল কার্যক্রম সফল ভাবে পরিচালনা করেন। ১৯৯১ সাল হতে ২০০৪ সন পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগকে সংগঠিত করার কাজে সদস্য হিসেবে সর্বদায় নিয়োজিত থাকেন। ২০০১ সনের ২৮ শে নভেম্বর তৎকালীন আওয়ামী যুবলীগ নেত্রকোণা জেলা শাখার সভাপতি শহীদ বাবু স্বপন জোয়ার্দারকে তেরী বাজার মোরে বিএনপির সন্ত্রাস বাহিনী গুলি করে হত্যা করে।এই মামলার আসামীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ব্যাপক আন্দোলন করেন। ২০০৫ সনে তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবীর নানক (বর্তমান) সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এবং জনাব মির্জা আজম বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত বাংলাদেশ আওয়ামীযুবলীগ নেত্রকোণা জেলা শাখার আহবায়ক কমিটির ১নং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সাল থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির কর্তৃক অনুমোদিত নেত্রকোণা জেলা যুবলীগের ১নং সদস্য থাকাবস্থায় তৎকালীন জোট সরকার ও জামাত শিাবর বিরোধী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির ও স্থানীয় কর্মসূচি নিয়ে জেলার তৃণমূল পর্যায় যুবলীগের নেতৃত্বে প্রত্যোকটি আন্দোলন সংগ্রাম কে জেল জুলুম উপেক্ষা করে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করেন। জেলার ১০টি উপজেলা ৫টি পেীরসভা ও ৮৬টি ইউনিয়নে ও ওয়ার্ড থেকে শুরু করে প্রত্যেক ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহযোগীতা করেন। তৎকালীন মাননীয় অর্থ মন্ত্রী জনাব শাহ এসএম কিবরিয়া হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কাউন্সিলর হিসেবে তিনবার অংশগ্রহন করেন। এছাড়া ১/১১ গণতন্ত্রের মানস কন্যা জাতির পিতার সুযোগ্য তনয়া ডিজিটাল বাংলার রুপকার দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার প্রতিবাদে পরদিন জেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্বে জেলা শহরে গণ মিছিল করেন। এই নিয়ে দুইবার ২লক্ষ গণ সাক্ষর পত্র কেন্দ্রে প্রেরন করা হয়। ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোণা জেলায় সু-সংগঠিত আওয়ামী যুবলীগের কর্মীদের নিয়ে কৌশলী নির্বাচনী কর্মকান্ডে পরিচালনা করেন।ফলে জেলার ৫টি আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। আগামী পৌরসভা নির্বাচনে নেত্রকোণা তথা পৌরবাসীর সূখ দু:খের সাথী হয়ে নেত্রকোণা পৌরসভাকে একটি আধুনিক মডেল পৌরসভা হিসেবে উপহার দেওয়া অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তিনি পৌরবাসীহস সকলের সহযোগীতা ও দোয়া প্রার্থনা করেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com