রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এ বছর অবিরাম বর্ষণে ক্ষতি হলেও কৃষকরা এখন শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আগাম ফসলে অধিক মুনাফা পাওয়া যায় এ আশায় তারা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। মুলা শীতের সবজি হলেও এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মুলা। তাছাড়া ধান, পাট, আলুর দাম না পাওয়ার কারণে সবজি এখন মূল ফসল হিসেবে কৃৃষকের কাছে পরিচিত হচ্ছে। সরেজমিনে পশ্চিম মান্দ্রাইন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জমির এক পাশে সাজিয়ে চারা তৈরি করা হয়েছে। বৃষ্টি থেকে রক্ষার্থে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে চারাগুলোকে ঢেকে রাখা হয়েছে। কৃষকরা সবজি খেতে নিড়ানি দিচ্ছে। মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে বেগুন, মুলা, কপি, লালশাক ক্ষেত। দিনে দিনে বেড়ে উঠছে সবজি চারা গাছগুলো। বেগুনে ফুল এসেছে। বেগুন বিক্রি শুরু করেছেন কৃষকরা। কেউবা সবজি ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করছেন। পশ্চিম মান্দ্রাইনের জগদিশ এ বছর ৬০ শতক জমিতে বেগুন, ৩০ শতক জমিতে কপি লাগিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে ১৩ হাজার টাকার শাক বিক্রি করেছেন। বেগুন বিক্রি শুরু করেছেন জগদিশ। ভুপতি ৩০ শতক জমিতে, ১৫ শতক জমিতে কপি লাগিয়েছেন। কৃষকরা জানান, গত বছর তারা বেগুনের দাম ভালোই পেয়েছেন। পশ্চিম মান্দ্রাইন ছাড়াও দক্ষিণ চেংমারী, নবনীদাস, হাবু এলাকাতেও আগাম সবজি চাষ হয়েছে। পশ্চিম নবসীদাস বøকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা বেগম বলেন, কৃষকদের এখন আগাম সবজি চাষে আগ্রহ বেশি। অনেকে এর মধ্যে ফুলকপি কিংবা বাঁধাকপিও লাগাবেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, এগুলো খরিপ-২ মৌসুমে আগাম সবজি। চেংমারী মান্দ্রাইন এলাকার মাটি বেলে-দোআঁশ। খুব বেশি বৃষ্টি না হলে ক্ষতি তেমন একটা হয় না। তিনি আরো বলেন, কৃষকরা এখন অনেক সচেতন। আগাম ফসল চাষে কৃষকরা অধিক মুনাফা পান। তাই তো তাদের আগ্রহ বাড়ছে।