কুড়িগ্রামে আগামভাবে ফুলকপি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হলেও সঠিক সময়ে সার ও কীটনাশক প্রয়োগে দীর্ঘসূত্রিকার কারণে ফলন ও ফুলকপির সাইজ আশানুর¤œপ হয়নি বলে অভিযোগ চাষীদের। এদিকে লাভের আশায় বিভিন্নভাবে ঋণ করে জমি পরিচর্চা, কীটনাশক, সার ও অতিরিক্ত শ্রমমূল্য মেটাতে হিমসীম অবস্থা কৃষকদের। প্রশাসন বলছে ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে শীতকালীন সবজিচাষে কৃষকদের কোন সমস্যা হবে না। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলায় ৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আগামভাবে শাকসবজি চাষ লাভজনক হওয়ায় এবার ৩ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে আগাম চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। ইতিমধ্যে বাজারে উঠেছে ফুলকপি ও বাঁধাকপি। গতবছর সবজিচাষ করে বড় ধরণের লোকসানের মুখে পরেছে কৃষকরা। ফলে এবার স্বল্প পরিসরে সবজিচাষ করে বেশ লাভের মুখ দেখেছেন তারা। তবে কৃষকদের অভিযোগ সারের অতিরিক্ত মূল্য ও সময়মতো জমিতে সার প্রয়োগ করতে না পারায় ফুলকপির কিছুটা ফলন বিপর্যয় ঘটেছে। সাইজও ছোট হয়ে গেছে। ফলে সবজিচাষীরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ। রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর গ্রামের ফুলকপি চাষী শামসুল আলম জানান, ‘সার থাকার পরও সার পাই না। ডিলাররা বলে স্স্নিপ আনো। ওদিকে বিএসরা বলে ডিও পাই নাই। এমন হয়রাণী করি কি চাষাবাদ করা যায়। শ্যাষ পর্যন্ত্ম পাঁচদিন ঘুরি বিএস’র কাছে ২৫ কেজি সারের স্স্নিপ পাইছি। সময়মতো সার দিতে না পারায় ফলন ভালো হয় নাই। এবারে ফুলকপি আন্ডার সাইজ হয়া গেইছে।’ হোসেন আলী নামের অপর এক কৃষক জানান, ‘সার ডিলারের গুদামোত রাখছে। হামরা গেলে কয় ডিও পাই নাই। অথচ খোলা বাজারোত ১৪০০ টেকা বস্ত্মা। যেটে সরকার সাড়ে ৭শ টেকায় কৃষকোক বস্ত্মা দেওয়ার কথা।’ তবে মহিধর গ্রামের পাইকার আইজুল ইসলাম জানান, ‘অন্যান্যবারের চেয়ে এবার কপির দাম ভালো পাইতেছি। প্রতিবারে ধরা খাই। এবার ধরা খাই নাই। তবে এবারে আরো লাভ হইতো যদি ঠিকমতো কৃষকরা সার পাইতো। সার না পাওয়াতে ফুলকপির সাইজ কম হইছে।’ রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর গ্রামের ফুলকপি চাষী আবুল হোসেন জানান, এবার আমি ৬০ হাজার টাকা খরচ করে ফুলকপি লাগিয়েছি। এখন পর্যন্ত্ম ৯০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছি। আশা করছি একলক্ষ টাকা পর্যন্ত্ম বিক্রিবাট্টা হবে। এদিকে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত্ম জানান, আগামভাবে যারা ফুলকপি লাগিয়েছেন তারা ভাল লাভ পাচ্ছে। আমাদের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। আশা করা যায় শীতকালীন সবজিচাষে কৃষকদের কোন সমস্যা হবে না। আমরা টার্গেট অর্জন করতে পারবো।