“সঙ্গীত বিশ^ ভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলে”-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সহ¯্র বছরের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চার ধারাতে দিনাজপুরে গুণী সঙ্গীতজ্ঞ যারা চলমান রেখেছেন তাদের মধ্যে ওস্তাদ সুনীল মজুমদার একজন। তার হাত ধরে সঙ্গীত পিপাসু শিক্ষার্থীরা এগিয়ে চলছে সুরমূর্ছনার সুবিশাল সরোবরে। দিনাজপুরের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ভৈরবীর আয়োজনে এবং ওস্তাদ সুনীল মজুমদারের শিষ্যদের পরিবেশনায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উৎসব-২০২২ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দিনাজপুর নাট্য সমিতির মঞ্চে শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়। সূচনা বক্তব্যে ভৈরবীর সভাপতি ও ওস্তাদ সুনীল মজুমদার বলেন, আমাদের ঐতিহ্য এবং সঙ্গীতের শেকর হলো শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। একসময় বাদশা আকবরের রাজ সভায় জ্ঞানী-গুণি সঙ্গীতজ্ঞদের নিয়মিত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চা হত। আজ কালের বিবর্তনে সেই চর্চা থেকে এখন অনেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের চর্চায় ফিরে যেতে হবে। সঙ্গীতের মূল শক্তি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চায় আমাদের প্রজন্ম শিল্পীদের উৎসাহিত করতে হবে। অনুষ্ঠানে অনুপম চক্রবর্তী (ঠুমরি রাগে) “আযা বালাম পারদেশী”, নিতাই রায় ( দেশ রাগ) “ক্যায়সে মানে জিয়া” মনোরঞ্জন মহন্ত (মানকোষ রাগে) এবং মিতুল ভট্টাচার্য (রাগ দূর্গা) “ভজ মন রামা-রামা” গান গেয়ে শ্রোতাদের মহিত করে রেখেছিল। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় তবলায় ছিলেন মামুনুর রশিদ, সঞ্জয় কুমার মন্ডল ও সৈমেন মিত্র রনি। তানপুরায় ছিলেন ভৈরবীর সাধারন সম্পাদক রমহতুল্লাহ রহমত। হারমুনিয়ামে ছিলেন ওস্তাদ সুনীল মজুমদার। শেষে দিনাজপুরে ধ্রুব পরিষদের সঙ্গীত প্রতিযোগিতার ক্ষুদে বিজয়ী শিল্পীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন সম্মানীত অতিথি ড. টিটো রেদওয়ান, রায়হান কবির সোহাগ, সাবেক অধ্যক্ষ হাবিবুল ইসলাম বাবুল, ডাঃ শহীদুল ইসলাম খান, রাজিউদ্দিন চৌধুরী ডাবলু, মকসেদ আলী, সন্ধ্যা দাস ও এ্যাড. সরোজ গোপাল রায়। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উৎসবের সদস্য সচিব মোঃ রমহতুল্লাহ রহমত।