প্রযুক্তির ব্যবহারে আমন চাষের পর এখন ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত মিরসরাইয়ের চাষিরা। যন্ত্র দিয়ে ধান কাটায় কমেছে শ্রমিক নির্ভরতা। প্রতি বছর ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকটে পড়েন কৃষক। সে পরিস্থিতি বদলে গেছে যন্ত্রের ব্যবহারে। বেশিরভাগ জমিতে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা হচ্ছে। এর সুফল পাচ্ছে কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে ৬ নম্বর ইছাখালী ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নে চলতি বছর প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। অপরদিকে সবচেয়ে কম আবাদ হয়েছে ৪ নম্বর ধুম ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নে চলতি বছর প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়। আমন ধান চাষী জাহিদুল আজিজ জানান, ১২০ শতক (১ কানি) জমির ধান কাটতে হারভেস্টার মেশিন দিয়ে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। অথচ শ্রমিক দিয়ে কাটলে প্রয়োজন হতো ১০ জনের এবং সময় লাগতো ১ দিন। ধান কাটা, ধান মাড়াই করা, বস্তা ভরা সহ সব মিলিয়ে খরচ হতো ১৫ হাজার টাকা প্রায়?। সময় ও লাগত ১ সপ্তাহ। আর সেখানে এই মেশিন দিয়ে ১০-১২ হাজার টাকা দিয়ে অল্প সময়ে সব কাজ করা যাচ্ছে। মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, যন্ত্রের ব্যবহারে কমেছে উৎপাদন খরচ। লাভবান হচ্ছে কৃষকরা। আর কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে অনাবাদি জমিতে বেড়েছে চাষাবাদ। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। এজন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি ও প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।