বরিশালে দীর্ঘ ৫২ বছর পর এই প্রথম নিজস্ব ক্রয় জমিতে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জেলা ও মহানগর দলীয় কার্যালয় শাখার ৭ শতাংশ জমির উপর ১০ তলা ভবন নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার মহান বিজয় ও স্বাধিনতা মাস (১২) ডিসেম্বর বেলা ৩ টায় নগরীর প্রান কেন্দ্র সদররোডে একাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের ফলক উম্মোচন ও দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে উদ্ধোধন করে পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক (মাননীয় মন্ত্রী) সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটি ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক, সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ,বরিশাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড.একে.এম জাহাঙ্গীর হোসাইন, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুস,জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সৈয়দ আনিসুর রহমান, বরিশাল বিসিসি প্যানেল মেয়র এ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকন,মহানগর অঅওয়ামী লীগ সহ- সভাপতি এ্যাড. আফজাল হোসেন, বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাব সাধারন সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন সহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও দলীয় সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করে। উল্লেখ্য পূর্ব ইতিহাস থেকে জানা যায় স্বাধিনতা পূর্বে তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মালেক খান সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের বাসভবনে দলীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেময় আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন এ্যাড, নুরুল ইসলাম মঞ্জু । তখন সভাপতি মালেক খান ও সাধারন সম্পাদক মঞ্জুর নেতৃত্বে তাদের স্বাধিনতা সংগ্রামের দলীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়। স্বাধিনতার পর ৭২ সালে অশ্বিনী কুমার হলের পিছনে বর্তমান সস্ত্রশ্র বাহিনী বোর্ড ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ৭৫ সালে ১৫ আগস্ট কালো রাতে জাতীর জনক বঙ্গবন্দুর পরিবার সহ তার ভগ্নিপতি বাংলাদেশ কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাত নিহত হবার পর বরিশালে আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যলয়হীন হয়ে পড়ে। দীর্ঘ ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৯৬ সালে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসার পর সদররোডস্থ সড়কের পূর্বপাশে জমির স্থায়ীভাবে সরকারের নিকট থেকে দলীয় আওয়ামী লীগের নামে দলীলের মাধ্যমে ক্রয় করে নেন।