হেমন্তকালীন বিদায় নিয়েএলো বাঙালির মুখরুচি খাবার মাসকলাই আর চালকুমড়ার বড়া। বৃহত্তর যশোরের চৌগাছা, মহেশপুর সহ বিভিন্ন উপজেলা গুলোতে গৃহ বধুদের মাসকলাই এর বড়া তৈরির হিড়িক পড়েছে। যা দেখে বুঝা যায় গৃহবধুদের হাতে শীতের আগমন ঘটেছে। আর গৃহকর্তাদের খাবারে যেন রুচি বেড়েছে। হেমন্তের শেষে শীতের আগমনে রস গুড়ের পিঠার সাথে সাথে খাবারের স্বাধ বাড়ানো আরো এক অসাধারণ খাবার, যা সব ধরনের সবজিতে স্বাধ বাড়িয়ে দেয়। আর শীত ছাড়া বড়া তৈরির ফেনাও উপযুক্ত হয়না। ফলে শীতের সকালে উঠে বাঙালী নারীরাই মাসকলাই এর ডাল পিশে আটার খামির তৈরি করে, চালকুমড়া অথবা পেঁয়াজ অথবা পেঁপে কুঁড়ে ডালের খামিরের সাথে মিশিয়ে বড়া তৈরি করে। এই বড়া রোদে শুকাতে টিনের উপর অথবা ডালা অথবা কাপড়ের উপর বড়া বনিয়ে দেয়। রোদে শুকিয়ে গেলে তা বিভিন্ন সবজির সাথে রান্না করে খাবার উপযুক্ত করা হয়। শীতের সকালে বাঙালী বধুদের হাতে তৈরি হওয়া এক মুখরুচিকর খাবার। খেতে বসলেই বড়া দেখে বুঝা যায়, হেমন্তের শেষে শীতের আগমন ঘটেছে বাঙালী বধুদের হাতে। বাজারে তৈরি করা বড়া কিনতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন বাজারে সবজি ও মুদির দোকান গুলোতে বিক্রয় হতে দেখা যায়।