মেসি, নেইমার কিংবা রোনালদো বিশ্ব পরিচিত নাম। অসাধারণ ফুটবল দক্ষতায় বিশ্বজুড়ে ভক্ত তাদের। এসব নামের ভিড়ে ফুটবল দক্ষতা ও অসাধারণ সৌন্দর্যে নিজেকে পাদপ্রদীপের আলোর নিচে নিয়ে এসছেন আরেকজন এশিয়ান ফুটবলার, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সন হিউং মিন।
কাতার বিশ্বকাপের শেষ ১৬-তে ব্রাজিলের কাছে হেরে বিদায় নিলেও আলোচিত হয়েছেন সন। অসংখ্য ভক্ত রয়েছে তার। বিশেষ করে মহিলা ভক্ত। ভিন দেশের নারীর হৃদয়ে কাঁপন তুলেছে সনের যাদুমাখা চেহারা। সন হিউং মিনের জন্ম ৮ জুলাই ১৯৯২ সালে। বাবা ফুটবলার ছিলেন। ফলে বাবার অনুপ্রেরণাতেই ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়েন তিনি। মাতৃভাষার পাশাপাশি সন জার্মান এবং ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী। সন বর্তমানে খেলেন টটেনহ্যাম হটস্পারের দলের হয়ে। দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় তিনি। গত কয়েক বছরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে যারা গণমাধ্যমের প্রতিদিনকার খবর হয়েছেন তাদের মধ্যে সন অন্যতম। একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সেরা খেলোয়াড় তিনি। দায়িত্ব পালন করেন অধিনায়কের। কাতার বিশ্বকাপে সনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বহুগুণে। ইনস্ট্রাগ্রামের অনুসারী ছাড়িয়েছে দুই লক্ষের অধিক। সনের খেলার ভিডিও কিংবা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়তে দেরি হলেও ছড়িয়ে পড়তে দেরি হয় না।
সুদর্শন, কময়বসী এমন স্মার্ট ফুটবলারের জনপ্রিয়তা থাকাটাই স্বাভাবিক। প্রতিদিন হাজার হাজার বার্তা আসে সনের ইনস্টাগ্রামে। এমনকি বিশ্বকাপ চলাকালে নিজের ফোন বন্ধ করে রাখতেন সন, ব্যবহার করতেন না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। সনের কোচ জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে সনের কাছে শুক্রাণু চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন এক মহিলা ভক্ত। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
সনের ক্যারিয়ার ক্লাব: ২০০৮ সালে ১৬ বছর বয়সী সন দোংবাক হাই স্কুল ছেড়ে হ্যামবার্গার একাডেমিতে যোগ দেন। ২০১০-১১ প্রাক-মৌসুমে তিনি দলের হয়ে ৯ গোল করেন এবং প্রথম ক্লাবের সাথে অফিশিয়াল চুক্তি করেন। আগস্টে চেলসির বিপক্ষে গোলের পর পায়ের ইনজুরির জন্য ২ মাস খেলার বাইরে চলে যান। ২০১০ সালের ৩০ অক্টোবরে ফিরে এফসি কোণের বিপক্ষে প্রথম লিগ গোল করেন। সন ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্লাবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট সন প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারে ২২ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ৫ বছরের চুক্তিতে যোগ দেন। যা তাকে সবচেয়ে বেশি টাকার এশিয়ান ফুটবলারে পরিণত করে। ২০০১ সাল থেকে এই রেকর্ড ধরে রেখেছিল জাপানি ফুটবলার হিদেতশি নাকাতা, তাকে পার্মা ২৫ মিলিয়ন ইউরোতে রোমা থেকে কিনে নেয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বরে সন স্টোক সিটির বিপক্ষে ২ গোল এবং একটি এসিস্ট করে দলকে ৪-০ গোলে জেতায়। ১৪ অক্টোবরে প্রথম কোরিয়ান ও প্রথম এশিয়ান হিসেবে ‘প্রিমিয়ার লিগ প্লেয়ার অফ দ্যা মান্থ ‘ নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালেও তিনি এই উপাধি লাভ করেন। সেই মৌসুমে ২১ গোল করেন তিনি।- রাইজিংবিডি.কম