রিহ্যাব ফেয়ারে ৩৫১ কোটিরও বেশি টাকার ফ্ল্যাট, প্লট ও বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যাংক কমিটমেন্টে এসেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার। গতকাল রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রিহ্যাব ফেয়ারে সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) এবং মেলা কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা এসব তথ্য জানান।
লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ২১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী মেলা শেষ হলো গতকাল (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায়। মেলা রাত ৯টা পর্যন্ত থাকলেও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান থাকার কারণে এখনই শেষ করতে হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগে মেলা শেষ করা হলেও যে উদ্দেশ্য নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল, সেটা সফল হয়েছে। তিনি বলেন, মেলার আসল উদ্দেশ্য ব্র্যান্ডিং করা। এখানে যেসব ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন তারা সবাই ফ্ল্যাট বা প্লট কিনবেন। কেউ হয়তো এখন কিনবেন, আর কেউ হয়তো সামনের বছরগুলোতে কিনবেন। মেলায় যারা এসেছেন তারা আসলে সবাই ক্রেতা। কারণ এই মেলায় বিনোদনমূলক কিছু নেই। যারা মেলায় টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রবেশ করেছেন তারা সবাই ক্রেতা। প্রতিষ্ঠানগুলো মেলায় আসা ক্রেতাদের কাছে তাদের পণ্যের মান সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেছেন। তারা দর্শনার্থীদের নার্সিং করেছেন। আর ক্রেতারা যে প্রোডাক্ট দেখে গেলেন, তা যাচাই বাছাই করবেন এবং পরবর্তীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। একসঙ্গে অনেক ক্রেতা পাওয়া একমাত্র রিহ্যাব ফেয়ারেই সম্ভব। রিহ্যাব ফেয়ারে রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ফ্ল্যাট বিক্রি এবং বুকিং হয়েছে ১৬৮ কোটি টাকার। প্লট ৮০ কোটি এবং বাণিজ্যিক স্পেস ৫৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বুকিং এবং বিক্রি হয়েছে। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী আসেন ১৬ হাজার ১৩২ জন। এবছর অনেক অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের পণ্য তুলে ধরেছেন। বিদেশ থেকেও প্রবাসীরা তাদের পণ্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। মেট্রোরেলের কারণে উত্তরা এবং মিরপুরের দিকে ফ্ল্যাটের চাহিদা ছিল বেশি। কারণ আর দুই দিন পরেই মেট্রোরেলের আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এই এলাকার নাগরিকরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে সেখানে ফ্ল্যাটের চাহিদা বাড়ছে।