নির্বাচকরা তাদের কাজ করছেন। কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো আর অধিনায়ক মুমিনুল হক নিজেদের মতামত দিয়েছেন। দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, হাবিবুল বাশারের দল গঠন একরকম চূড়ান্ত। যেহেতু করোনায় ৫ মাসের বেশি সময় সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ, তাই শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট দল নিয়ে ভক্ত ও সমর্থকদের সর্বোচ্চ আগ্রহ! কোন ২১ জন শ্রীলঙ্কা যাবেন? তা নিয়ে রাজ্যের কৌতুহল। কিন্তু কঠিন সত্য হলো টেস্ট দল নিয়ে যত জল্পনা-কল্পনার ফানুসই উড়ুক না কেন, আসল সত্য হলো শ্রীলঙ্কা সফরে যাবার অন্যতম পূর্ব শর্ত হচ্ছে করোনামুক্ত থাকা। মোটকথা, নির্বাচকদের মন জয় কিংভা তাদের মনোনয়নই যথেষ্ট নয়। শ্রীলঙ্কা যাবার আগে করোনা মুক্ত থাকা এবং সামনে যতগুলো করোনা টেস্ট আগে সবগুলোয় নেগেটিভ হওয়া প্রধান শর্ত। পজিটিভ হলেই বিপদ। তখন দলে থাকাও অর্থহীন। শ্রীলঙ্কা যাওয়া যাবে না। এখনকার খবর, টপ অর্ডার সাইফ হাসান এবং ট্রেনার নিক নেইল ছাড়া শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটার ও সাপোর্টিং স্টাফ সবাই করোনামুক্ত। শেষ হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা সফরের আগে ক্রিকেটার ও সাপোর্টিং স্টাফদের প্রথম দফা করোনা টেস্ট। সর্বশেষ করোনা নেগেটিভ হয়েছে দুজনের; ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন আর পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের। গত বুধবার তাদের টেস্ট করানো হয়েছিল। বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জানালেন, ওটিস গিবসন আর মিঠুন সম্পূর্ণ সুস্থ। তাদের মধ্যে করোনার জীবানু নেই। তিনি আরও জানান, আমাদের প্রথম দফা করোনা টেস্ট শেষ। আরও দুইবার টেস্ট হবে। একবার জাতীয় দলের পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন শুরুর ঠিক আগে (১৮ সেপ্টেম্বর থেকে)। আর আরেকবার শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে।
ভেতরের খবর, দল সাজানোর কাজ প্রায় শেষ। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুমোদনের অপেক্ষায় শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট স্কোয়াড। শুক্রবার যেহেতু ছুটির দিন তাই দল ঘোষণা হতে হতে অন্তত শনিবার। বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান আকরাম খানের ভাষায় দল- জমা পড়লেই তো আর ঘোষণা হয় না। বোর্ড সভাপতি অনুমোদন করতে করতে একদিন লেগে যায়। কখনো তিনি দু’দিনও সময় নেন। তাই শনিবারের আগে দল ঘোষণার সম্ভাবনা খুব কম।
শেষ কথা হলো, ২০-২১ জনের দলে যেই জায়গা পাক না কেন, যদি তিনি ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনা টেস্টে সাফল্যের সাথে উৎরে না যান, তাহলে তিনি আর ২১ সেপ্টেম্বর জাতীয় দলের মূল অনুশীলনে অংশ নিতে পারবেন না। আইসোলেশনে থাকতে হবে। একইভাবে কলম্বোর উদ্দেশ্যে বিমানে ওঠার আগে করোনা টেস্টে নেগেটিভ হওয়া খুব জরুরি। নেগেটিভ হলেই কেবল জাতীয় দলের বহরের সাথে যাওয়া যাবে। না হয় দলে থেকেও দেশে পড়ে থাকতে হবে।