বর্তমানে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বুঁদ বিশ্বের সব মানুষ। আট থেকে আশি সবাই ব্যবহার করছেন ইন্টারনেট। নানান প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন বিভিন্ন ওয়েবসাইট। এখন শপিং থেকে শুরু করে হাসপাতাল, ব্যাংকসহ বিভিন্ন কাজে বা তথ্য জানতে ওয়েবসাইট ভিজিট।
যারা নিয়মিত বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করেন তারা একটি বিষয় নিশ্চয়ই জানেন, যে ওয়েবসাইটে ঢুকতে আপনার মেইল আইডি চাওয়া হয়। পরবর্তিতে যেন তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা এবং অফার সম্পর্কে আপনাকে জানাতে পারে। তবে এর মাধ্যমে প্রতারকরা হ্যাক করতে পারে আপনার মেইল আইডি। চুরি করতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য।
ভুয়া ওয়েবসাইটের সাহায্যেই ছড়ানো হয় প্রতারণার জাল। যদিও এই ওয়েবসাইটগুলোকে আসল ওয়েবসাইটের মতোই দেখতে হয়। অনেকেই আসল বা নকল ওয়েবসাইট চিনতে পারেন না। তখনই তৈরি হয় সমস্যা। তাই তথ্য জানার জন্য কোনো ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে ভালোভাবে যাচাই করে নিন যে ওয়েবসাইটটি আসল না নকল।
খুব সহজে কিন্তু আসল ও নকল ওয়েবসাইট চেনা যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক কী করে আসল বা নকল ওয়েবসাইটের পার্থক্য বুঝবেন যেভাবে- প্রথমে ওয়েবসাইটটিকে ভালোভাবে লক্ষ্য় করুন। ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর যদি যোগাযোগের ঠিকানা বা ফোন নম্বর, কাস্টমার কেয়ার নম্বর না দেখতে পান তাহলে বুঝবেন সেই ওয়েবসাইটটি ভুয়া। ‘ডোমেইন নেম’ (ডোমেইন নাম বলতে সাধারণত কোনো একটি ওয়েবসাইটের নামকে বোঝায়) ভালোভাবে দেখুন। যখন একজন ব্যক্তি বা কোম্পানি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে, তখন তাকে একটি অনন্য ‘ডোমেইন নেম’ কিনতে হয়। প্রতিটি ওয়েবসাইটের একটি আলাদা ‘ডোমেইন নেম’ রয়েছে। যদি একটি ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেম অন্য ওয়েবসাইটের মতো হয়, তাহলে বুঝবেন যে এই ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে একটি ভুয়া বিষয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোম্পানি সম্পর্কিত সব তথ্য ভুয়া ওয়েবসাইটে থাকবে না। তালা চিহ্ন আছে কিনা দেখে নেবেন লিংক খোলার পর। সেফ ব্রাউজিং টুল ব্যবহার করুন। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস