পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা শেষে হামলায় আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগে’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন পান্নাসহ ৫জন আহত হয়েছে। বৃৃহস্পতিবার সন্ধা ৭টার দিকে আটঘরিয়া বাজার সংলগ্ন পাইলট স্কুলের গেটে এ ঘটনা ঘটে। অন্যান্য আহতরা হলেন, চাঁদভা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম কামাল , যুবলীগ নেতা খাইরুল, আওয়ামীলীগ নেতা জাবেদ আলী, যুবলীগ নেতা শাহ আলম । এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও মাঝপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর ঠেকাতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। আহত মোবারক হোসেন পান্না জানান, বিকাল ৪টায় আটঘরিয়া পাইলট স্কুল মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধিত সভা শেষে সবাই বের হয়ে চলে যাবার সময় হঠাত করে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন ধর ধর বলে চিৎকার দেয়। আমরা কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তার ছেলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম, তার বন্ধু তুষার ও গোলাম মওলা পান্নুর নেতৃত্বে প্রায় অর্ধ শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা করে। এ সময় তারা লোহার রড, জিআই পাইপ ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলার সময় জিআই পাইপ দিয়ে তানভীর ও তার সন্ত্রাসীরা আমাকে বেদম মারপিট করে জখম করে।
এ সময় তানভীর তার কোমরে থাকা পিস্তল দিয়ে আমাকে গুলি করতে গেলে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আমাকে রক্ষা করেন। এদিকে চাঁদভা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল জাানায়, তানভীর ও তার সশস্ত্র ক্যাডাররা আমাকে হকিস্টিক ও জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরত্বর জখম করে। এক পর্যায়ে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করলে আমি হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে আমার হাত কেটে যায়। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে আহতরা রাতেই নিরাপত্তার অভাবে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। আহতদের দেখতে ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান চাটমোহর উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুর হামিদ মাষ্টার, পাবনা পৌর মেয়র কামরুল হাসান মিন্টুসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, তানভীর ইসলাম গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে হোন্ডা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছিলেন। সেই সময়ে তার বাবা পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি’র দলীয় পদ ও ক্ষমতা ব্যবহার করে বিদ্রোহী প্রার্থীকে বিজয়ী করে। এরপর থেকে বাপ-বেটার অত্যাচারে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্র্মীরা কোনঠোসা হয়ে পড়ে। সেই সময়ে মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন ও তার ছেলে আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে পরাজিত করতে জামায়াত-বিএনপি’র সাথে ঐক্য গড়ে তোলে। এ কারনে তানভীর ইসলাম উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমানের পক্ষে কাজ করতে বর্ধিত সভা শেষে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের উপর বর্বোরোচিত হামলা করে দলকে বিশৃংখলার মধ্যে ঠেলে দিতে চক্রান্ত করছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ এই হামলার নিন্দা জানান, সেই সাথে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।