নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে চেম্বার জজ আদালতের আদেশ আরও ৬ মাস বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম ৬ মাস স্থগিত থাকবে বলে জানান আইনজীবীরা। এখন বিচারিক (নি¤œ) আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণে কোনো বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা।
গতকাল সোমবার (৯ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম (জেড আই) খান পান্না ও অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। এর আগে গত বছরের ৮ মার্চ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ৮ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার জজ আদালতে এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
আদালতে ওইদিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। তাদের সঙ্গে ছিলেন সংশ্লিষ্ট বেে র সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। অন্যদিকে পরীমনি পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম (জেড আই) খান পান্না ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। ২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। দাবি করা হয়, ওই সময় বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গত বছরের ১ মার্চ পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বে এ আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে ৭ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে, যার শুনানির জন্য মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।