রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন

বরিশালে আলোচিত রিয়াজ হত্যা মামলা তদন্ত নিয়ে সন্দেহ

শামীম আহমেদ বরিশাল :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের রাজধর গ্রামের আলোচিত ও বরিশালে দলিল লেখক রেজাউল করীম রিয়াজ হত্যা মামলটি কোতয়ালী মডেল থানার এসি রাসেল,তদন্তকারী এসআই বসিরের করা তদন্তে সত্য ঘটনাকে আড়াল করার অভিযোগ আনা সহ ডিবির তদন্তে তিন খুনিকে প্রেফতার করার মাধ্যমে মামলাটি আলোর মত পরিস্কার করায় ডিবিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নিহত রিয়াজের স্ত্রী আমিনা আক্তার লিজা। এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যতে বলেন, বিড়ালের শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায় অথচ তিন থেকে চারজন মানুষ ঘড়ে প্রবেশ করে দলিল লেখক রেজাউল করীম রিয়াজকে গলা কোপ দিয়ে ও কুপিয়ে চলে যাওয়া পর্যন্ত একই ঘড়ের পাশের কক্ষে থাকা স্ত্রী আমিনা আক্তার লিজা তার স্বামীর কোন ডাক-চিৎকার শুনতে পায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন নিহত রিয়াজের স্ত্রী আমিনা আক্তার লিজা। এমনকি তিনি আরো বলেন, খুনি ওই সিঁদ দিয়ে ঘড়ে প্রবেশ করে ঘড়ের দড়জা খুলে দিয়ে সকলকে প্রবেশ করিয়ে পুনরায় দড়জা বন্ধ করে দেয় বলে তিনি মনে করেন। তারা রিয়াজকে হত্যার পর সকলেই পিছনের তিন, চারটা পাকের ঘড়ের দড়জা খুলে বেড় হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিড়ালের শব্দ পেয়ে মোবাইলের লাইট জালিয়ে স্বামী রিয়াজের কক্ষে প্রবেশ করে দেখতে পান রিয়াজের পড়নের লুঙ্গিটা কয়েক জায়গা ভিজে রয়েছে। এতে তার মনে হয় তার স্বামীর কয়েকদিন আগে ডিসিনটিরিয়া হয় (পাতলা পায়খানা) তাতে হয়ত লুঙ্গি ভিজে গেছে মনে করে কাএছ যেতেই দেখি মুখের উপর একটা বালিশ রাখা রয়েছে আমি বালিশটার পাশ ধরে সরাতে দেখি তার ঘাড়ের বামপাশে রক্ত আর রক্ত। আঘাতের চিহ্ন সহ রক্তে শরীর ভিজে যাওয়া দেখে ঘড়ের দড়জা খুলে ডাক-চিৎকার দিতে থাকেন এতে বাড়ির অন্য লোক কেহ এগিয়ে না আসায় কিছু সময় পর দুরসম্পর্কের মামা শশুর (কালু চৌকিদার ঘড়ে প্রবেশ করে দেখে বলে ওরা খুন করতে এসেছিল ওর ঘড়ের কিছুই নেয়নি বলে বেড় হয়ে আসে। সংবাদ সম্মেলনে লিজা বলেন তার স্বামী রিয়াজ হত্যায় থানা পুলিশের এসি রাসেল,তদন্তকারী কর্মকর্তা বসির আহমেদ ও এসআই ফিরোজ আল মামুন সহ ওসির তদন্ত আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে সত্যকে চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। যা পুলিশ কমিশনারের প্রতি শুকরিয়া আদায় করে বলেন মামলাটি ডিবি পুলিশ দিয়ে তদন্ত করার কারনে তিন খুনিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জবানবন্ধি নিয়ে আলোরমত পরিস্কার করে দিয়েছে তারা। একই সাথে লিজা প্রকৃত হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি,দায়ী পুলিশ এবং তাকে ষড়যন্ত্র করে মামলায় ফাসানো বর্তমান মামলার বাদী ভাসুরের শাস্তি দাবী করেন। শনিবার (১২ই) সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় বরিশাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রিয়াজের স্ত্রী ও বর্তমান দলিল লেখক রিয়াজ হত্যা পরিবারের দায়ের করা মামলার সন্দ্রেহভাজন আসামী আমিনা আক্তার লিজা কোতয়ালী মডেল থানার তিনজন অফিসারকে দোষী সাবস্থ করেন এবং ডিবি পুলিশের তদন্তেকে ধন্যবাদ জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন লিজার পিতা দেলোয়ার হোসেন, মাতা, মনোয়ারা বেগম,মামা রফিকুল ইসলাম,ছোট বোন হারিচা আক্তার মৌ ও ছোট ভাই ইমন হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে লিজা আরো দাবী করে বলেন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবান বন্ধি দেওয়া পর্যন্ত জানতেন না তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্ধি দিয়েছেণ। তিনি মনে করেন এটা আইনি প্রক্রিয়া মানা হয়নি। এমনকি তাকে নির্যাতন করা সহ তার মা-বোন ও ভাইকে আটকে রেখে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন লিজা। একই সময় তিনি আরো অভিযোগ করেন তাকে নির্যাতন করে পুলিশ জবান বন্ধি দিতে বাধ্য করেছেন। তবে তার দেওয়া জবান বন্ধি পরবর্তীতে তার মা প্রত্যাহার করার আবেদন আদালতে জানানো হলে বিজ্ঞ বিচারক হলে তা খারিজ করে দেয় বলে স্বীকার করেন। গত ২৮ই আগস্ট বর্তমান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সেপ্রেক্টর মোঃ সগির হোসেন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঢাকা ও বরিশালের বিভিন্নস্থান থেকে মোঃ শাকিল,রায়হান ও জলিল সিকদার নামের তিন মাদকাশক্ত ছিচকে চোরকে আটক করে তাদের খুনি বানিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিওস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শামীম আহম্মেদ এর আদালতে হাজির করে জবান বন্ধি গ্রহন করে। তিন ছিচকে চোরকে আদালতে হাজির করে জবান বন্ধি গ্রহন করা হলে সেখানে কারো সাথে কারো কথার মিল না থাকায় রিয়াজের বড় ভাই হত্যা মামলার বাদী মনিরুল ইসলাম রিপন ৭ই সেপ্টেম্বর বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিন চোরের বক্তব্য তদন্তকারীর কর্মকর্তার সাজানো বলে দাবী করে। এবং একই সাথে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার মাধ্যমে হত্যাকারী ও হত্যার সহায়তাকারীদের রক্ষা করার মিশনে নেমেছে ডিবি পুলিশ ।বাদী দাবি করেন সঠিক সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আসল হত্যাকারীকে চিহ্নিত ও পলাতক রিযাজের সহকারী এবং লিজার পরকিয়া প্রেমিক মাসুম দফাদারকে গ্রেফতার করা হলে আসল রহস্য বেড় হয়ে আসবে বলে মনে করেন রিপন। এদিকে রিয়াজ হত্যা মামলা তদন্তকরা কারটি সঠিক তা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে। উভয় পক্ষ দাবী করেন আসল চিহ্নিত হত্যাকারীকে আটক করার মাধ্যমে মামলার রহস্য উদঘাটন করা হোক। এব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানার এসি মোঃ রাসেল আহমেদ ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন যেহেতু মামলাটি অন্য একটি সংস্থা তদন্ত করছেন একারনেই আমাদের এই মুহুর্তে প্রতিক্রিয়া জানানো ঠিক হবে না।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com