ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়েই মধু আর লেবুর রস দিয়ে হালকা গরম পানি খাওয়া দীর্ঘ দিনের অভ্যাস। বিশ্বাস, এই পানীয়তেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ওজন মাপার যন্ত্র কিন্তু সে কথা বলছে না। পুষ্টিবিদদের মতে, যে লক্ষ্য নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে এক অভ্যাস জারি রেখেছেন, তা সব সময়ে যে কাজ করবেই, এমন কিন্তু কোনও কথা নেই। ওজন ঝরাতে গেলে বিপাকহার বাড়ানো প্রয়োজন। লেবু মধু ছাড়াও এমন অনেক পানীয় আছে, যা বিপাকহারে পরিবর্তন আনতে পারে। পাশাপাশি, পেটের অনেক সমস্যাও দূর করতে পারে।
লেবু-মধু দেয়া উষ্ণ পানি ছাড়াও ওজন ঝরাতে পারে এমন পানীয়গুলি কী ? জোয়ান ভেজানো পানি: ওজন ঝরাতে নিয়মিত শরীরচর্চা করছেন। কিন্তু ফল বিশেষ মিলছে না। মেদ ঝরাতে গেলে বিপাকহারে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। জোয়ান ভেজানো পানি সেই কাজ করতে পারে অনায়াসেই। এ ছাড়া, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বমি বমি ভাব, অরুচির মতো সমস্যা হলেও জোয়ান ভেজানো পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকে।
কী ভাবে বানাবেন? এক গ্লাস পানিতে এক চামচ জোয়ান ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে উঠে ছেঁকে খেয়ে ফেলুন।
জিরা ভেজানো পানি: শীতকালে পালা-পার্বণ তো কম নেই। আর উৎসব মানেই খাওয়াদাওয়া। গরমকালের মতো দম বন্ধ করা পরিস্থিতি হয় না বলে খাওয়ার সময়েও খেয়াল থাকে না। সেই সময়ে ‘অ্যান্টাসিড’ না খেয়ে জিরে ভেজানো পানি খেতে পারেন। এ ছাড়া, ওজন ঝরাতে আগের রাত থেকে ভেজানো জিরের পানি পরের দিন সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন। নিয়মিত এই পানি খেলে কিন্তু রক্তে কোলেস্টেরলের সমস্যাও দূর হয়।
কী ভাবে বানাবেন? এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ জিরে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে খালি পেটে ছেঁকে খেয়ে নিন। হাতে বেশি সময় না থাকলে দু’কাপ গরম পানিতে জিরে ফুটিয়ে নিন। কিছু ক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখুন। হালকা গরম অবস্থায় খেয়ে নিন।
মেথি ভেজানো পানি: কারও কারও মতে উষ্ণ লেবুর পানি খাওয়ার চাইতে মেথি ভেজানো পানি খাওয়া অনেক ভাল। কারণ, মেথি ভেজানো পানি শুধু যে ওজন ঝরাতে সাহায্য করে, তা নয়, হজমশক্তি বাড়াতে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করতেও সাহায্য করে। এ ছাড়াও চুল ঝরা, মাথার খুশকি দূর করতেও সাহায্য করে মেথির পানি। তবে রক্তে শর্করার ভারসাম্য যদি ঠিক না থাকে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই মেথির পানি খাবেন।
কী ভাবে বানাবেন? এক গ্লাস পানিতে এক চা-চামচ মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে খালি পেটে ছেঁকে খেয়ে নিলেই হল।