দেশে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে কেউ না খেয়ে থাকে না বলে দাবি করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকের উন্নয়নে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দেয়ার পাশাপাশি সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এতে দেশে আর কোনোদিন খাদ্য সংকট হবে না।’
গতকাল সোমবার সকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার শিবপুরে উন্নত জাতের সরিষা ও ধান উৎপাদনকারী চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় ও কৃষক সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে মঙ্গা হয় না, দুর্ভিক্ষ হয় না। গত ১৪ বছরে কেউ না খেয়ে থাকে নি, একজনও না খেয়ে মারা যায় নি। দেশে ৫০ ভাগ তেল উৎপাদনের মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমাতে তিন বছর মেয়াদি রোডম্যাপ আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। প্রথম বছরেই এবার সারা দেশে দ্বিগুণ পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে সরিষার আবাদ বৃদ্ধির সম্ভাবনার পুরোটা কাজে লাগাতে হবে। যাতে করে দুই বছর পরে ভোজ্যতেল আমদানি অর্ধেকে নামিয়ে আনা যায় ও আমদানিতে কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে বিএনপি, জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তারা নির্বাচনকে বানচাল করে অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসতে চায়। সেজন্য তারা একেকদিন একেকটা আন্দোলনের আওয়াজ তোলে। কিন্তু বিএনপির আন্দোলনের আওয়াজ দেশের জনগণের নিকট পৌঁছে না, জনগণ তাতে সাড়া দেয় না। কারণ, জনগণ আওয়ামী লীগের আমলে দেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, তা দেখতে পায় ও উপলব্ধি করে।
অনুষ্ঠানে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, সিংগাইর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে কৃষিমন্ত্রী মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সরিষা ও ধান আবাদের অগ্রগতি এবং আগামী বছরের কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক আ লিক কর্মশালায় যোগ দেন।