এ বছর মুসল্লিদের জন্য হজের খরচ কমিয়েছে সৌদি আরব সরকার। ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে ৩০ শতাংশ হজের খরচ কমিয়েছে দেশটি। গত রোববার সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ড. আমর বিন রেদা আল মাদ্দাহ এ তথ্য জানান। খবর গালফ নিউজের। সচিব ড. আমর বিন রেদা আল মাদ্দাহ বলেন, হজের খরচ এবার গত বছরের চেয়ে ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ইকোনোমিক হজ প্যাকেজের প্রায় ৯০ ভাগ বিক্রি হয়ে গেছে।
এদিকে, গত সপ্তাহে সৌদির হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, হজ প্যাকেজের অর্থ তিন কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন সৌদি নাগরিকরা। আগে এ অর্থ একবারে পুরোপুরি পরিশোধ করতে হতো। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এর আগে বলেছিল, যারা আগে কখনো হজ করেনি, এই বছর নিবন্ধনের ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালে স্বাভাবিকভাবে হজ পালিত হয়। ২০২০ সালে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সৌদির মাত্র ১০ হাজার নাগরিক হজ পালন করেন। ২০২১ সালেও করোনার প্রভাব থাকায় বিদেশীদের হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা দেয় সৌদি সরকার। ওই বছর সৌদিতে থাকা ৬০ হাজার মানুষ হজ পালন করার সুযোগ পান। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে হজ পালনের জন্য সৌদি যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়, তবে সেক্ষেত্রে কোটা অর্ধেক করে ফেলে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সৌদি নাগরিক ছাড়া বিশ্বের ৯ লাখ মানুষ হজ পালন করেন। এমনিতে স্বাভাবিক সময়ে প্রতি বছর প্রায় ২৫ লাখ মুসলমান হজ পালন করে থাকেন। করোনার প্রভাব এড়িয়ে তিন বছর পর এবার আগের মতো ২৫ লাখ মানুষ হজ পালন করতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এদিকে সবকিছু যেমন আগের চেহারায় ফিরছে, তেমনি বাংলাদেশ থেকেও আগের সংখ্যাতেই মানুষ হজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। আগের মতো পুরো কোটায় অর্থাৎ এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন আগামী জিলহজ্জ মাসে হজ পালন করতে পারবেন।