তাসকিন আহমেদ নিজেকে খানিক দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। নিজে খুব ভালো বোলিং করছেন। তার বলে রান উঠছে খুব কম। ঢাকার শেরে বাংলায় সিলেট স্ট্রাইকার্সের সাথে দ্বিতীয় ম্যাচটি ছাড়া বাকি ৩ ম্যাচে তাসকিনের বলে রান করতে গিয়ে ঘাম ছুটেছে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। কিন্তু সে তুলনায় উইকেট কম। দলের সাফল্যও নামমাত্র। ৪ ম্যাচে তাসকিন আহমেদের দল জিতেছে মাত্র একটিতে। ডানহাতি এই পেসারের ঝুলিতে জমা পড়েছে ৪ উইকেট। ৭ জানুয়ারি খুলনা টাইগার্সের সাথে হোম অব ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচে উইকেট না পেলেও দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দেন তাসকিন। সে ম্যাচেই তার দল ঢাকা ডোমিনেটর্স জিতেছিল ৬ উইকেটে। চট্টগ্রামে এসেও তাসকিনের নিয়ন্ত্রিত ও সমীহ জাগানো বোলিং অব্যাহত আছে। সিলেটের সাথে ৪ ওভারে ১২ রানে এক উইকেট। কিন্তু দল জেতেনি। হেরেছে ৫ উইকেটে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৩.৪ ওভারে ২৪ রানে এক উইকেট। তারপরও ঢাকা ডোমিনেটর্স হেরেছে ৮ উইকেটে। শুধু একটি খেলাতেই তুলনামূলক বেশি (৪ ওভারে ৩৬) দিয়েছেন তাসকিন। সেটা সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে গত ১০ জানুয়ারি শেরে বাংলায়। ভালো বোলিংয়ের পরেও দল জেতেনি, নিজেকে দুর্ভাগা মনে হয়?
তসকিনের আক্ষেপ নেই। তার কথা, ‘জিতি বা হারি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটাই এমন। একদিন অনেক ভালো হবে, একদিন একটু খারাপ হবে। হয়তো অন এভারেজ মোটামুটি ভালো হবে। ম্যাচের পর হয়তো একটা ফল আসবে, জয় অথবা হার। পরেরদিন আবার সূর্য উঠবে। প্রসেসেই থাকতে হবে, নিজের কাজগুলো করতে হবে। দুর্ভাগা ভাবার কোনো কোনো সুযোগ নেই। হার বা জয় থাকবেই, তবে নিজের লক্ষ্য ও প্রক্রিয়া নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি কাজ করছেন শ্রীলঙ্কান গ্রেট চামিন্দা ভাসের সাথে। ভাস তাকে নতুন কিছু শিখিয়েছেন কি? তাসকিন জানালেন, আসলে নতুন কিছু শেখাননি।
তার কথা, ‘আসলে দেশি, বিদেশি আর নামি কোচ সবারই মৌলিক বিষয়গুলো এক ও অভিন্ন। সত্যি বলতে চামিন্দা ভাস একজন কিংবদন্তি বোলার। কিন্তু সবারই না বেসিক জিনিসগুলো একই আসলে। তার থেকে বড় জিনিস একেকজনের একেকরকম বিশেষত্ব থাকে। সবাই দিনশেষে একইরকম কথাই ঘুরেফিরে বলেন।’
তাসকিনের উপলব্ধি, ‘দিন শেষে বাস্তব প্রয়োগটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। চাপের মুখে কে কত ভালো করতে পারে। সেদিক থেকে হয়তো বড় কোচরা সাহায্য করতে পারে।’
মাশরাফির সঙ্গে কথা হয়েছে? কী বললেন তিনি? তাসকিন মুখ ফুটে সব বলতে নারাজ। তবে তার কাছ থেকে সময় পেলেই টিপস নেন। ‘সব মুখে বলার দরকার নেই। ভেতরে আছে কিছু কথা। যতটুকু পারি টিপস নেই’-জানালেন তাসকিন।
মাশরাফিকে ‘বস’ সম্বোধন করে তাসকিন বলে ওঠেন, ‘তার যে লেভেলের অভিজ্ঞতা, বলে শেষ করা যাবে না। ২০-২২ বছর ধরে টপ লেভেলের ক্রিকেট খেলছেন। মাশরাফি ভাই কী করবেন, এটা ব্যাটসম্যানরা জানার পরেও তাকে মারতে পারে না। এত সুন্দর একুইরেসি বা কাটারটা খুব ইফেক্টিভ। উনার মতো কিংবদন্তিকে আমার ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। উনি তো বস।’