দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামূর রহমান এমপি বলেছেন সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে নড়িয়া উপজেলার চরাঞ্চলে বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। এটাই বাংলাদেশে প্রথম সাব মেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুতায়ন করা। এটার সফলতা দেখে সরকার দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে সন্দীপে বিদ্যুতায়ন করবে। প্রতিমন্ত্রী শনিবার বিকেল ৩টায় শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা আজিজিয়া উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন কীর্তিনাশা নদীসহ আরো কয়েকটি নদীর দুপাড়ে বাধ দেয়া হবে। যাতে পুরো শরীয়তপুর জেলা আর নদীতে না ভাঙ্গে। ২১০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দূর্যোগ সহনীয় দেশে পরিনত হবে। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য বাংলাদেশের মানুষ বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে আর কষ্ট না পায় সে জন্য তিনি ডেল্টাপ্লান ঘোষনা করেছেন।তিনি বলেন বন্যা ও নদী ভাংগন এ গুলো ২০৩০ সালের মধ্যে বন্ধ করবেন। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন সারাদেশে নদীগুলো শাসন করতে ৩৭ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হবে এ পরিকল্পনায় প্রতিবছর ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ১০বছর খরচ করা হবে। তিনি বলেন নদীগুলোকে ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা বাড়ানো হবে। দুইপাড় উচু করে টেকসই বাধ দিয়ে যাতে করে মানুষের ঘর প্লাবিত হতে না পারে। এতে মানুষের ফসল নষ্ট হবে না। মৎস্য খামার নষ্ট হবে না । এতবড় কাজ প্রধানমন্ত্রী হাতে নিয়েছেন। সুধী সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামূল হক শামীম এমপি বলেন গত বন্যায় ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা বুক সমান পানির মধ্যে নেমে ত্রান বিতরন করেছে। মহিলালীগ স্বেচ্ছাসেবকলীগ তারা ও বন্যাত্রদের পাশে দাড়িয়েছে। জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের এর সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, সখিপুর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর মোল্যা, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন প্রমূখ। এরপূর্বে সকালে প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী নড়িয়া উপজেলার পদ্মানদীর ডানতীর ও বামতীর রক্ষাবাধের অগ্রগতি পর্যবেক্ষন ও নদীভাংগন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্তরে বৃক্ষরোপন করেন।