চিনাবাদামে থাকে অনেক পুষ্টিগুণ। এতে থাকে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন ও অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। আরও থাকে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ উপাদানসমূহ। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে চিনাবাদাম। এটি কোলেস্টেরল ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে, হজমের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও শক্তির একটি ভালো উৎস হিসেবে সহায়তা করে। চিনাবাদামে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বক ও শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল ধ্বংস করে। ফলে ত্বক ও স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকে। জেনে নিন ত্বকের যত্নে কেন খাবেন চিনাবাদাম- ১. চিনাবাদামে বেশ কিছু অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে, যা বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলোর সঙ্গে লড়াই করে যেমন- বলিরেখা ও বয়সের দাগ প্রতিরোধ করে। ২. ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় রাখতে শীতে নিয়মিত খান চিনাবাদাম। এই বাদামে থাকা অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড, ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে ও এর প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। ৩. চিনাবাদামে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ৪. চিনাবাদামে থাকে ভিটামিন ই, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বককে ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ৫. কোলাজেন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করতেও সাহায্য করে চিনাবাদামে থাকা জিঙ্ক। এই খনিজ উপাদান ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। ফলে ত্বকে তারুণ্যভাব বজায় থাকে। ৬. চিনাবাদাম ভিটামিন সি এর একটি বড় উৎস, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে ও কালচে দাগ দূর করতে সাহায্য করে। ৭. ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহ নিরাময় করতেও সাহায্য করে চিনাবাদাম। এতে থাকা পুষ্টিগুণ ত্বকের প্রদাহ কমাতে ও নিরাময়ে সাহায্য করে।
৮. অনেকের চোখের তলায় কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল পড়ে। জানলে অবাক হবেন, চিনাবাদামে উপস্থিত উচ্চ মাত্রার ভিটামিন কে ও ফ্যাটি অ্যাসিড ডার্ক সার্কেল দূর করতে সাহায্য করে। ৯. চিনাবাদামে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা ত্বকের ফ্রি র্যাডিক্যাল ও পরিবেশগত ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ১০. চিনাবাদাম থেকে পাওয়া তেল একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ফলে ত্বক আরও নরম ও কোমল হয়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া