সরকারি টাকায় ব্রীজ নির্মান করে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকেও অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আলম সেরনিয়াবাতের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্টের (এলজিএসপি) মাধ্যমে ইউনিয়নের পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামের তৈয়ব আলী মোল্লার বাড়ীর পূর্ব পাশে খালের উপর চার লাখ টাকা ব্যয়ে একটি আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ওই ব্রীজটি নির্মানের জন্য সুবিধাভোগী একটি পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হয়েছে। সুবিধাভোগী তৈয়ব মোল্লা বলেন, ব্রিজটি নির্মানের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম সেরনিয়াবাতকে তিন লাখ টাকা দিতে হয়েছে। অপরদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ প্রকল্পের মাধ্যমে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের আহম্মদকাঠী মসজিদ সংলগ্ন খালের উপর তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয়ে এবং একই গ্রামের মজিবর বেপারীর বাড়ির একটি পরিবারের যাতায়তের জন্য এক লাখ চুয়ান্ন হাজার টাকা ব্যয়ে আয়রণ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। সুবিধাভোগীরা বলেন, আহম্মদকাঠী মসজিদ সংলগ্ন খালের উপর ব্রিজ নির্মানের জন্য দুই লাখ ও মজিবর বেপারীর বাড়ির ব্রিজ নির্মাণের জন্য সুবিধাভোগী পরিবারটির কাছ থেকে এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা নিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম। এছাড়াও পূর্ব সমরসিংহ গ্রামের ফরু চৌকিদারের বাড়ির সামনে ব্রিজ নির্মানের জন্য (কাজ চলমান) ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম সেরনিয়াবাতকে দুই লাখ টাকা দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুবিধাভোগী পরিবারের এক সদস্য। নির্মাণাধীন ব্রিজটি কোন প্রকল্প দিয়ে নির্মান করা হচ্ছে তা সংশ্লিষ্ট ইউপির সচিবও জানাতে পারেননি। এ বিষয়ে ইউপি সচিব মোঃ নাসির হোসেন বলেন, সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম সেরনিয়াবাত জানান, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এলজিএসপি প্রকল্পের টাকায় ব্রিজ নির্মান করে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।