ফটিকছড়ির হাইদচকিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিশা আকতার ও নিশু মনির মৃত্যুর একবছর পূর্ণ হলোও মিশা ও নিশুর নামে ফুট-ওভারব্রিজ নির্মান কাজের কোন অগ্রগতি নেই। ফটিকছড়ি উপজেলার মহাসড়কের পাশে অবস্থিত স্কুলগুলো এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে (২ মাসের মধ্যে) ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ ও ১০ দফা দাবির মধ্যে পেলাগাজির দীঘিতে ডিভাইডার ছাড়া বাকি দাবী এখনো বাস্তমায়ন হয়নি। এছাড়া বিদ্যালয়ের হলরুমে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি অবরোধকারী ও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময়কালে মিশা ও নিশুর নামে ফুট-ওভারব্রিজ করার ঘোষণা দেন। একবছর পূর্ণ হলেও এর কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। এ নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ, শিক্ষক শিক্ষার্থী, পরিবার পরিজনের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলেও সাংসদ মাইজভান্ডারিকে স্বরণ করিয়ে দেয়নি কেউ। গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারী স্কুল থেকে ফেরার পথে পেলাগাজি দীঘি নামক স্থানে চাঁদের গাড়ী (জীপ) উল্টে চাপা পড়ে স্পটে নিহত হয় মিশা ও নিশু। মৃত্যু বার্ষিকীতে তাদের স্বরণ করছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মিশু আক্তার ও নিশু মনির মৃত্যুতে সেদিন ফুঁসে উঠেছিল পুরো ফটিকছড়িবাসী ও ছাত্র সমাজ। তাদের মৃত্যুতে হাইওয়ে পুলিশ ও পুলিশের সার্জেন্ট নিখিল চাকমাকে দোষারোপ করে সড়ক অবরোধ করে পুলিশের মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয় অবরোধকারীরা। এ ঘটনায় সার্জেন্ট নিখিল চাকমাকে বরখাস্ত করা হলেও পরিবার ও অবরোধকারীদের দাবী দাওয়া মানা হয়নি। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে মহাসড়কে ডিভাইডার, ওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং, গতিসীমা রোধসহ বিভিন্ন দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন বলেন, মারাত্মক দূর্ঘটনায় আমাদের বোন মিশা ও নিশুকে হারিয়েছি। পেলাগাজি দীঘির পাশে ডিভাইডার হলেও বাকি ৯টি পয়েন্টে এখনো হয়নি। ফুট ওভারব্রিজসহ আমাদের দাবী মেনে না নেয়া হলে আবারও ছাত্রলীগসহ আপামর জনতা মাঠে নামতে বাধ্য হবে। হাইদচকিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ এবিএম গোলাম নুর বলেন, নিশা মিশুর স্বরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। মাননীয় এমপি মহোদয়কে ফুট ওভারব্রিজ করার জন্য আবেদন দিয়েছি। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন এটি করে দিবেন। আশাকরছি ওনার আন্তরিকতায় ফুট ওভারব্রিজ খুব দ্রুতই করে দিবেন। ফুট ওভার ব্রিজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির রাহমান সানি বলেন, প্রকল্পের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও এব্যাপারে মাননীয় সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি এটা নিয়ে মন্ত্রনালয়ে তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছেন।