ক্লাব ও ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনার পর নতুন মৌসুম শুরু নিয়ে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বাফুফের প্রফেশনাল লিগ কমিটি। কবে দলবদল হবে এবং কবে ফুটবল মাঠে গড়াবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে লিগ কমিটি সভায় বসছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায়। বেশ কয়েকটি অমীমাংসিত বিষয় সমাধানের পর নতুন মৌসুম নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে লিগ কমিটিকে। ফুটবলাররা দাবি করেছেন পরিত্যক্ত মৌসুমের পাওনা শতভাগ পরিশোধ করে নতুন মৌসুমের ৫০ ভাগ অগ্রিম দিতে হবে। ক্লাবগুলো পরিত্যক্ত মৌসুমের পাওনা পরিশোধে সম্মত হলেও আগামী মৌসুমের চুক্তি অনুযায়ী পরিশ্রমিকের ২০-২৫ ভাগের বেশি দিতে রাজি নয়।
নতুন মৌসুম শুরুর আগে এই ইস্যুটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি আছে বিদেশি ফুটবলারের কোটা ও ভেন্যু কমানো। পরিত্যক্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের খেলা হয়েছিল ৭ ভেন্যুতে। ক্লাবগুলো ভ্রমণ কমাতে এবং সময় বাঁচাতে আসন্ন ফুটবল মৌসুমে সর্বোচ্চ চারটি ভেন্যুতে খেলা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ময়মনসিংহ স্টেডিয়াম ও কুমিল্লা স্টেডিয়ামে খেলা হবে নিশ্চিত। ভেন্যু চারটি করলে যোগ হবে গোপালগঞ্জ স্টেডিয়াম। লিগ কমিটির আগের সভায় বেশিরভাগ ক্লাব বিদেশি ফুটবলার ছাড়া নতুন মৌসুমের কথা বলেছিল। এ নিয়ে অনেক সমালোচনার মুখে পড়েছিল ক্লাবগুলো। তবে লিগ কমিটির কাছে ক্লাবগুলো যে লিখিত মতামত দিয়েছে সেখানে ১৩ ক্লাবের ৮টিই বিদেশিসহ মৌসুমের পক্ষে মত দিয়েছে। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও উত্তর বারিধারা ক্লাব বিদেশি ছাড়া লিগের পক্ষে।
লিগ কমিটি লিখিত প্রস্তাব চাইলেও তিনটি ক্লাব সাড়া দেয়নি। মোহামেডান, আবাহনী ও চট্টগ্রাম আবাহনী সোমবার পর্যন্ত তাদের প্রস্তাবনা জমা দেয়নি। তবে আবাহনী লিগ কমিটিকে জানিয়েছে, তারা সভায় বিস্তারিত উপস্থাপন করবে।