আল ইমাম ইসলামী সেন্টারের অনন্য আয়োজন
বিয়ে ইসলামের দৃষ্টি একটি গুরুত্ব কাজ। সামর্থ্যবান প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য বিয়ে অবশ্য পালনীয় ফরজ। কিন্তু ভোগবাদী জটিল ষড়যন্ত্রের আর্বতে পড়ে মুসলিম সমাজেও বিয়ে এখন এক জটিল ও ব্যয়বহুল কর্মযজ্ঞ। যৌতুক,গায়ে হলুদ, ডিজে পার্টি, আলোকসজ্জা এবং কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে লাখ লাখ টাকা খরচ করতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন অনেক বিত্তবানরা। মধ্যবিত্তরা ভিটে মাটি বিক্রি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই ধারা চলমান থাকলে বিয়ের মতো পবিত্র বন্ধনের জায়গা দখল করবে অবৈধ লিভ টুগেটার ও অবৈধ যৌনচার। এই চিন্তা থেকে টাংগাইলের জেলার মির্জাপুর উপজেলার বাওয়ার কুমারজানী আল ইমাম ইসলামী সেন্টার এক অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
“বিয়ে সহজ করি, অপসংস্কৃতির আগ্রাসন মোকাবেলা করি”-এই স্লোগানে গত ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ জুম’য়া সুন্নাহ পন্থায় প্রথম বিয়ে পড়নো হয় আল ইমাম মসজিদে। এই শুভ উদ্যোগে প্রথম সাড়া দিয়েছেন ঢাকা ও মির্জাপুরের বিত্তবান সম্ভ্রান্ত দুটি পরিবার। ইটারনেটি ট্রেভেল্সের কুয়েতের কান্ট্রি ম্যানেজার মহসিন সরকারের ছেলে প্রকৌশলী ইউসুফ আহমেদ সাথে নিপুন হোলোব্লক এন্ড গ্রিন ব্রিক্স কোম্পানির সিইও আলহাজ ওয়াজ উদ্দিন সিকদারে মেয়ে নওশিন তাব্বাচ্ছুম ঊষার বিয়ের মধ্যদিয়ে রাসুল সা. এর একটি প্রায় হারিয়ে যাওয়া সুন্নত এই সবুজ শ্যামল বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনলো আল ইমাম ইসলামী সেন্টার। এ মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আদর্শ মাদ্রাসা শিক্ষক ফেডারেশন টাংগাইল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মওলানা আব্দুল্লাহ তালুকদার, বরেণ্য শিক্ষাবিদ মওলানা রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ইয়াহ ইয়া খান মারুফ, মির্জাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল হারুন উর রশিদ পনি, পীর সাহেব আলহাজ ইরশাদ আলী, স্থানীয় কাউন্সিলর আলহাজ আব্দুর রউফ দুলাল প ায়েত, প্রেস ক্লাব মির্জাপুরের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসাইন, জামায়াত নেতা হায়দার আলী মৃধা, বিএনপি নেতা ও নাট্য পরিচালক ফরহাদ হোসাইন, সমাজসেবক আলী আজম সিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা উজ্জল সিকদার, আল ইমাম মসজিদের মোতাওয়াল্লী ইব্রাহীম খলিল প্রমুখ। বিয়ের খুতবা প্রদান করেন আল ইমাম মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মহসিন আল মামুন । ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ক্বারী জহিরুল ইসলাম সরকার । খুতবা শেষে উপস্থিত মেহমানদের খুরমা খেজুর দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আল ইমাম ইসলামী সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা রুহুল আমীন ইমাম বলেন,আমরা প্রথমে বিত্তবান দুইটি পরিবারের বিয়ের মধ্যদিয়েই এ মহতী উদ্যোগের সূচনা করলাম, যেন কেউ হীনমন্যতায় না ভুগেন। মনে না করেন,যাদের অর্থবিত্ত নেই তারাই এ কাজ করবে। আমরা বুঝাতে চেয়েছি রাসুল সা. এর সুন্নতকে ভালোবাসা প্রত্যেক মুমিনের জন্য অপরিহার্য। ধনী দরিদ্র যিনিই আমল করবেন, তিনিই ঈমানের দাবি পূরণে এগিয়ে থাকবেন। আমি প্রকৌশলী ইউসুফ আহমেদ ও নওশিন তাব্বাচ্ছুম ঊষা দম্পতির সুখী সমৃদ্ধশালী দাম্পত্য জীবন কামনা করছি। তাদের দুই পরিবার আল্লাহ ও রাসূল সা. এর ভালোবাসায় আরো সিক্ত হোক। আল্লাহ তায়ালা তাদের ওপর রহম করুন, আমীন। প্রেসবিজ্ঞপ্তি