৩৬টি ছোট-বড় প্রবালদ্বীপ সমন্বয়ে ৩২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের লাক্ষাদ্বীপ ভারতের সবচেয়ে ছোট কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। এ দ্বীপপুঞ্জটি ভারতের মূল ভূখ- হতে ২০০-৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে লাক্ষাদ্বীপ সাগরের মালাবার উপকূলে অবস্থিত। দ্বীপপুঞ্জের ৩৬টি দ্বীপের মধ্যে জনবসতি রয়েছে ১০টি দ্বীপে। অবশিষ্ট কিছু দ্বীপে সম্প্রতি ভারতের সরকারি সংস্থা ট্যুরিজম কর্পোরেশন এবং দেশটির কিছু ব্যক্তিমালিকানাধীন পর্যটন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে স্বল্পসংখ্যক হোটেল, রিসোর্ট এবং টুরিস্ট স্পট গড়ে উঠেছে। দ্বীপপুঞ্জটির সবচেয়ে বড় দ্বীপ মিনিকয় এর আয়তন ৪.৫০ বর্গকিলোমিটার। তাছাড়া দ্বীপপুঞ্জটিতে ১২টি রিংদ্বীপ (অ্যাটল), তিনটি প্রবাল প্রাচীর এবং অসংখ্য প্রবাল টিলা রয়েছে। প্রবাল টিলাগুলো গাছপালাহীন এবং এর অল্প বালিময় অংশ জলপৃষ্ঠের ওপর দেখা যায়। ভারতের স্থানীয় পর্যটকদের দ্বীপপুঞ্জটির ছয়টি দ্বীপে ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে, অপর দিকে বিদেশী পর্যটকদের কেবল দুটি দ্বীপ যথা আগাট্রি ও বঙ্গারাম ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। কাবারট্রী এবং আমিনী এ দুটিসহ দ্বীপপুঞ্জটির প্রধান দ্বীপ হলো আগাট্রি ও মিনিকয়।
দ্বীপপুঞ্জটির আগাট্রি দ্বীপের বিমানবন্দরটি ভারতের মূল ভূখ- কোচিন’র সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। এ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তিনটি খ-ে বিভক্ত, যথা- লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জ, মিনিকয় ও আমিনদিভি। লাক্ষাদ্বীপের রাজধানী কাবারট্রী। সমগ্র দ্বীপপুঞ্জটি সমন্বয়ে একটি জেলা গঠিত এবং জেলাটি ১০টি মহকুমায় বিভক্ত। জেলাটি ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৩৯ অনুসারে দেশটির রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত প্রশাসক দ্বারা পরিচালিত হয়। লাক্ষাদ্বীপে ভারতের সংসদের নি¤œ কক্ষ লোকসভার একটি আসন রয়েছে।
২০১১ খ্রিষ্টাব্দের আদমশুমারি অনুযায়ী কেন্দ্র শাসিত দ্বীপপুঞ্জটির জনসংখ্যা ৬৪ হাজার ৪৭৩ জন। মোট জনসংখ্যার শতকরা ৯৬.৫৮ ভাগ ইসলাম ধর্মাবলম্বী সুন্নি সম্প্রদায়ভুক্ত। অবশিষ্ট জনসংখ্যার ২.৭৭ ভাগ হিন্দু, ০.৪৯ ভাগ খ্রিষ্টান, ০.০২ ভাগ বৌদ্ধ, ০.০২ ভাগ জৈন এবং ০.০১ ভাগ শিখ। জাতিগতভাবে দ্বীপপুঞ্জটির জনগণ ভারতের নিকটতম রাজ্য কেরালার মালয়ালী জনগণের সদৃশ। দ্বীপপুঞ্জটির জনমানুষের একটি বড় অংশ মালয়ালম ভাষা এবং জেসেরী নামক একটি মালয়ালম উপভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করে। দ্বীপপুঞ্জটির বৃহৎ দ্বীপ মিনিকয়ের মানুষজন মাহি বা ধিবেহী ভাষায় কথাবার্তা বলে। চতুর্দিকে সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপপুঞ্জটির জনমানুষের প্রধান পেশা হলো সমুদ্র হতে মৎস্য আহরণ এবং ভূভাগে নারিকেলের আবাদ। দ্বীপপুঞ্জটি হতে বিপুল পরিমাণে টুনা মাছ ও নারিকেল ভারতের মূল ভূখ-ে বিক্রি করে এখানকার জনগোষ্ঠীর একটি অংশ জীবনধারণ করে।
দ্বীপপুঞ্জটিতে সপ্তম শতকে মুসলমানদের আগমন ঘটলে অঞ্চলটিতে ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপূর্বে খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের বৌদ্ধ জাতকের কাহিনীতে এ দ্বীপপুঞ্জটির বিষয় উল্লেখ রয়েছে। দ্বীপপুঞ্জটিতে মুসলমানদের আগমনের পূর্বে কোনো প্রাচীন আদিবাসীর সন্ধান পাওয়া না গেলেও ইতিহাসবিদদের গবেষণায় জানা যায় খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ শতকে এ অঞ্চলটিতে মানববসতির পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণের চিহ্ন রয়েছে। সুদূর অতীত হতে দ্বীপপুঞ্জটি নাবিকদের নিকট পরিচিত ছিল। মধ্যযুগে এ অঞ্চলটি চোল সাম্রাজ্য এবং কান্নুর রাজ্যের শাসনাধীন ছিল। ১৪৯৮ সালে অঞ্চলটিতে ক্যাথলিক পর্তুগিজদের আগমন ঘটলেও পরবর্তীতে তারা ১৫৪৫ খ্রিষ্টাব্দে এ অঞ্চলটি হতে বিতাড়িত হয়। অতঃপর এ অঞ্চলটি প্রথমে আরাক্কালের মুসলিম হাউজ এবং তদপরবর্তী মুসলিম শাসক টিপু সুলতানের শাসনাধীন ছিল। টিপু সুলতানের মৃত্যুর পর এ অঞ্চলটি মুসলমানদের হাতছাড়া হয়ে ব্রিটিশদের অধীন চলে যায়। ব্রিটিশ কর্তৃক ভারতবর্ষের স্বাধীনতা প্রদান পরবর্তী ১৯৫৬ সালে দ্বীপপুঞ্জটি ভারতের কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মর্যাদা লাভ করে। লাক্ষাদ্বীপের দক্ষিণে স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। দ্বীপপুঞ্জটিতে শিক্ষিতের হার শতকরা ৯০ ভাগ; তবে মিনিকয় দ্বীপের শতভাগ অধিবাসী শিক্ষিত। মিনিকয় দ্বীপটি মালদ্বীপের সন্নিকটে। দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের আগমনের কারণে লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জের মোটামুটি সবাই কমবেশি ইংরেজি বলতে ও বুঝতে পারে। দ্বীপপুঞ্জের আবহাওয়া সাধারণত নাতিশীতোষ্ণ হলেও মে-সেপ্টেম্বর অবধি এ পাঁচ মাস কিছুটা উষ্ণ অনুভূত হয়। দ্বীপপুঞ্জটিতে বসতি রয়েছে এমন সব দ্বীপে অনেক মসজিদ রয়েছে। কাবারট্রী দ্বীপেই অর্ধ-শতাধিক মসজিদ রয়েছে। এ দ্বীপটির সবচেয়ে বড় মসজিদটি আজ্জারি মসজিদ নামে অভিহিত। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মসজিদের শহর নামে অভিহিত হলেও জনসংখ্যানুপাতে দ্বীপটির ন্যায় পৃথিবীর কোথাও এত অধিক মসজিদ থাকার তথ্য পাওয়া যায় না।
দ্বীপপুঞ্জের মানুষজনের রান্না ও খাওয়ার রুচি দক্ষিণ ভারতীয়দের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। দক্ষিণ ভারতীয়দের ন্যায় এখানকার অধিবাসীরা নারিকেলের তেলে রান্না খাবার খেতে অভ্যস্ত। দ্বীপপুঞ্জটিতে প্রচুর নারিকেল উৎপন্ন হওয়ার কারণে এখানে নারিকেলের আঁশ হতে তৈরি বেশ কিছু শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। দ্বীপপুঞ্জটিতে প্রাকৃতিকভাবে সুপারি এবং কলা জন্মে থাকে। দ্বীপপুঞ্জটির কিছু অঞ্চলে বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে কলার চাষ হচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটানোর পর উন্নত জাতের কলা সম্প্রতি বহির্বিশ্বে রপ্তানীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় অধিবাসীদের বাড়িতে অতিথির আগমন ঘটলে ডাবের পানি, ডাবের শাশ এবং কলা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। পৃথিবীর অন্য যেকোনো অঞ্চল হতে তুলনামূলকভাবে দ্বীপপুঞ্জটিতে সামুদ্রিক মাছ সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়। এখানকার হোটেল-রেস্তোরাঁয় প্রায় আধাকেজি ওজনের বড় সামুদ্রিক চিংড়ি ও বড় রূপচাঁদা ফ্রাই স্থানীয়রা ও দেশী-বিদেশী পর্যটকরা সাশ্রয়ী হওয়ায় ভাতের সাথে তৃপ্তিসহকারে খেয়ে থাকে। কলার পাশাপাশি এখানে সারা বছর তরমুজ উৎপন্ন হয়। আমাদের দেশের তরমুজের সাথে এখানকার তরমুজের পার্থক্য হলো এগুলো আকারে ছোট, গোলাকার, বীচিহীন, বাহিরের রঙ ঘনসবুজ আর ভিতরের রঙ গোলাপি এবং খেতে খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু। এ-দ্বীপের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো নীল সমুদ্র আর সমুদ্রতট। এখানকার কোরাল রিফ পর্যটকদের খুবই পছন্দের। এ দ্বীপপুঞ্জটিতে পর্যটকদের ভ্রমণের আকর্ষণের মূলে রয়েছে স্বচ্ছ জলের সমুদ্র ও নৈস্বর্গিক প্রকৃতি। কালপানি আর কাদামাত লাক্ষাদ্বীপের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল। কালপানির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে মালদ্বীপের। সমুদ্রের স্বচ্ছ নীল জলের সঙ্গে নীল আকাশ মিলে যে দিগন্তের বিস্তৃতি তা লাক্ষাদ্বীপের প্রকৃতির অনন্য সম্পদ। জনসমাগম থেকে আড়ালে গিয়ে একান্তে সময় কাটাতে চাইলে মিনিকয় সবচেয়ে উপযুক্ত বিবেচিত। এশিয়ান ডলফিন, ফ্রগফিশ, অক্টোপাস দেখতে হলে আকর্ষণীয় স্থান হলো বাঙ্গারাম দ্বীপ। ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণে এসে এ স্থানটি ঘুরে না গেলে ভ্রমণটি অতৃপ্ত থেকে যাবে।
লাক্ষাদ্বীপে বিমান ও জাহাজ উভয় মাধ্যমে যাওয়া যায়। কেরালারকোচিন বিমানবন্দর হতে সপ্তাহে এয়ার ইন্ডিয়ার ছয়টি ফ্লাইট আগাট্রী বিমানবন্দরে চলাচল করে। বিমান ভাড়া জনপ্রতি যাওয়া-আসা আট হাজার ৪০০ ভারতীয় রুপী। জাহাজযোগে প্যাকেজ ট্যুরে যেতে চাইলে তিন দিন তিন রাত সাকুল্যে ৯ হাজার ভারতীয় রুপি। গ্রুপ ট্যুরে আগ্রহীরা হাতে সময় থাকলে দলবদ্ধ হয়ে এমভি টিপু সুলতান নামক ক্রুইজ শিপে ভ্রমণ করলে ভারত মহাসাগর, আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরের সাথে লাক্ষাদ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের বিরল সুযোগ লাভ করতে পারেন। পর্যটকদের আবাসনের জন্য সরকারি বেসরকারি হোটেল রিসোর্টের পাশাপাশি কটেজ ও হোমস্টের ব্যবস্থা রয়েছে। মধ্যমানের হোটেল রেস্ট হাউজে থাকা-খাওয়ায় জনপ্রতি দৈনিক ব্যয় ৫০-৫৫ মার্কিন ডলার।
ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে কাশ্মির ছাড়া একমাত্র মুসলিম প্রধান এলাকা হলো লাক্ষাদ্বীপ। নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যে মোড়া এ শান্ত দ্বীপপুঞ্জ ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যভাগের কিছু পূর্ব হতে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির (ভারতীয় জনতা পার্টি) কূটকৌশলে ক্রমান্বয়ে অশান্তের পথে অগ্রসরমান। দ্বীপপুঞ্জটি ভারতের কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মর্যাদা লাভের পর হতে কেন্দ্রীয় সরকারের নিযুক্ত প্রশাসক এখানকার সরকারের দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পন্ন করে আসছিলেন। ইতোপূর্বে সবসময় জ্যেষ্ঠ আইসিএস বা আইপিএস অফিসারদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়া হতো; তবে সে ধারায় ছেদ ঘটে যখন গুজরাটের একজন সাবেক কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতাকে এ পদটি দেয়া হয়।
২০২০ সালে শেষভাগে প্রফুল খোডা প্যাটেল নামক উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতা, যিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র খুবই কাছের হিসেবে পরিচিত, প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করে উভয়ের পরিকল্পনামাফিক হীন অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থের মানসে দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারে সচেষ্ট। ২০১২ সালে যখন সোহরাব উদ্দিন শেখ এনকাউন্টার মামলায় অমিত শাহকে জেলে যেতে হয়েছিল তখন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বরত ছিলেন বর্তমান প্রশাসক প্রফুল খোডা প্যাটেল। লাক্ষাদ্বীপের দায়িত্ব হাতে নিয়েই প্রফুল খোডা প্যাটেল তার রাজনৈতিক গুরুদ্বয়ের আগুলের ইশারায় এমন কয়েকটি বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়েছেন যা দীর্ঘ দিন যাবৎ সুখে-শান্তিতে বসবাসরত দীপপুঞ্জের অধিবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সঞ্চার করেছে।
প্রশাসক নিযুক্ত হয়েই প্রফুল খোডা প্যাটেল যেসব বিতর্কিত প্রস্তাব করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো লাক্ষাদ্বীপে গরু জবাই ও গরুর মাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ করতে হবে; জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত লাক্ষাদ্বীপে মদ্যপান নিষিদ্ধ কিন্তু নতুন প্রশাসক লাক্ষাদ্বীপের বিলাসবহুল হোটেল ও রিসোর্টে মদ্যপান অনুমতি প্রদানের স্বপক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করেছেন; দু’টির বেশি সন্তান রয়েছে এমন ব্যক্তিদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার তিনি হরণ করতে চান; স্কুলে মধ্যাহ্নের খাবারে এ যাবৎকাল পর্যন্ত ভাতের সাথে ডিম বা মাছ বা মাংস দেয়া হয়ে এলেও নতুন প্রশাসক এর পরিবর্তে ভাতের সাথে নিরামিষ দেয়ার প্রস্তাব করেছেন; লাক্ষাদ্বীপের যে সকল নাগরিক ভারতের নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন নতুন প্রশাসকের নির্দেশে তাদের বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারান্তরীণ রয়েছেন।
লাক্ষাদ্বীপের অধিবাসীরা প্রফুল খোডা প্যাটেলের মাধ্যমে বিজেপির পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিপক্ষে ‘সেইভ লাক্ষাদ্বীপ’ নামক শক্ত প্রচারাভিযানে নেমেছেন। তাদের এ অভিযানে তাদের পাশে একাত্ম হয়ে অবস্থান করছেন ভারতের নিকটবর্তী রাজ্য কেরালার মানবতাবাদী এবং সত্য ও ন্যায়ের স্বপক্ষের রাজনীতিবিদ, তারকা ও বিশিষ্টজন। ভারতের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ারসহ বিজেপি ও উগ্রপন্থী হিন্দুত্ববাদী দলসমূহ ব্যতীত অপর সব দলের শীর্ষ নেতাদের পক্ষ হতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রফুল খোডা প্যাটেলকে অপসারণ করে লাক্ষাদ্বীপে পূর্বেকার ধারাবাহিকতায় সৎ, দক্ষ, ন্যায়নিষ্ঠ, প্রবীণ, আইসিএস বা আইপিএস অফিসারকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন যার প্রতি লাক্ষাদ্বীপের সামগ্রিক জনমানুষসহ ভারতের গণতন্ত্রকামী অসাম্প্রদায়িক জনমানুষের সমর্থন রয়েছে।
লেখক: সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক