বাবাগো মগো একটা খবর লইয়া দ্যান কহন গাড়ী আইব আর রোদ্রের মধ্যে বইয়া থকতে পানি না। হেই সকাল বেলা আইয়া রাস্তায় ব্যাগ লাইছা বইয় আছি এহন পর্যন্ত গাড়ী আইতাছে না। আমনে মগো লাইগ্যা একটা ফোন দেন না আল্লায় আমনেরে ভাল রাখবে।
একথাগুলো বলছিলেন নগরের অর্ধাশতাধিক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা সিটি কর্পোরেশনের মোড়ে টিসিবি’র গাড়ী থেকে তেল,চিনি ও মসুরের ডাল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ন্যায্যমূল্যে ক্রয় করার জন্য বৃদ্ধ পুরুষ-মহিলা ও শিশুরা পর্যন্ত রাস্তায় লাইন দিয়ে যার যার মত করে ব্যাগ রেখে স্থান নিয়ে বসে আছে কখন গাড়ী আসবে ।
কোন ধরনের প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই সিটি কর্পোরেশনের মোড়ে গাড়ী না এসে হঠাৎ করে প্রচারনা ছাড়াই অন্যস্থানে টিসিবি’র মাল বিক্রি করতে চলে যাবার কারনেই অসহায় সাধারণ মানুষগুলো এই দূরদশায় পড়ে অর্ধবেলা পাড় করেছে।
আজ সোমবার (৬ই) এপ্রিল সকাল ৯টার পর থেকে বিভিন্নস্থানের মহিলা-পুরুষ ও শিশুরা সিটি কর্পোরেশনের মোড়ে টিসিবি’র গাড়ী থেকে মাল ক্রয় করার জন্য আসে।
তারা জানে প্রতিদিন এইখান থেকে গাড়ীতে করে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাড়ীতে করে তারা মাল বিক্রি করে সাধারন মানুষের কাছে।
তারই ধারাবাহিকতায় আজও সেই আসায় মাল কিনতে এসে গাড়ী নাআসায় সকাল থেকে প্রচণ্ড রৌদ্রের মধ্যে বসে থেকে খালী হাতে শতাধিক অসহায় সাধারন মানুষ বাড়ী ফিরে যেতে দেখা যায়।
এব্যাপারে বরিশাল বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবি)’ ডিপুটি সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার আনিসুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে সিটি কর্পোরেশনের মোড়ে গাড়ী না আসার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের জেলা প্রশাসক প্রতিদিন যেন বিভিন্নস্থানে ঘুড়ে ঘুড়ে মাল বিক্রি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
তাছাড়া একইস্থানে মাল বিক্রি করা হলে একই লোকজন প্রতিদিন পাচ্ছে ফলে অন্য এলাকার লোকজন টিসিবি’র মাল ক্রয় করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেই এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আমরা প্রতিদিন বরিশাল নগরীর সিটি কর্পোরেশন মোড়,আমতলা মোড়, চৌমাথা নথুল্লাবাত বাস স্টান্ড, সাগরদী ও রুপাতলী বাস স্ট্যান্ড সহ ১২টি স্পটে মাল বিক্রি করার জন্য ডিলারদের নির্দেশ দেয়া রয়েছে।
হঠাৎ করে কোন ধরনের প্রচার ছাড়াই স্থান ত্যাগ করায় সাধারণ মানুষ এভাবে এসে সারাদিন বসে থেকে যে হয়রানী হচ্ছে সেবিষয়ে তিনি বলেন আগামী আমরা নগরীর যেসকল স্থানে মাল বিক্রি করছি সেসকল স্থানে কয়দিন বিক্রি করা হবে তা জানিয়ে দেয়া হবে তাহলে আগামীতে কেহ হয়রানীর স্বিকার হবে না।
তিনি আরো বলেন আমরা প্রতিদিন ১২টি স্পটের জন্য প্রতি গাড়ীতে ১২শত কেজি চিনি,১শত ৫০ কেজি মসুরী ডাল ও ১ হাজার ৫শত লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করছি। আমাদের মালের কোন ঘাটতি নেই বলে তিনি জানান।