শিবগঞ্জে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহযোগিতায় ১৫ বয়সের শিশুর মুনিশা খাতুনের পুষ্টি নিশ্চিত করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুর মায়ের হাতে গুড়ো দুধ তুলে দেন ইউএনও আবুল হায়াত। জানা গেছে- উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুর গ্রামের মোস্তাক ও মুনজিলা বেগম দম্পতি প্রতিবন্ধী হওয়ায় দারিদ্রতার কারণে অপুষ্টিহীনতায় ভুগছেন। অপুষ্টির কারণে শিশু তার মায়ের বুকের দুধ খেতে পায়না। বাধ্য হয়ে শিশুটিকে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় গুড়ো দুধ কিনে খাওয়ানো হয়। বিষয়টি সমাজ ভিত্তিক শিশু সুরক্ষা কমিটির মাধ্যমে জানতে পেরে শিশুটিকে দ্রুত সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত সিএসপিবি প্রকল্পের কেস ম্যানেজমেন্টের আওতায় আনা হয়। পরে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস বিষয়টি উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। এ সময় শিশুটির সার্বিক বিবেচনা করে দুই কোটা গুড়ো দুধ কিনে দেওয়ার নির্দেশনা দিলে তাৎক্ষণিক শিশুর মায়ের হাতে গুড়ো দুধ তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ সময় তিনি বলেন, সুস্থ্য থাকুক, বেঁচে থাকুক ও নিরাপদে থাকুক পৃথিবীর সকল শিশুরা। পরিবারই হোক তাদের আসল ঠিকানা। পরে শিশুটির প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোহিদুল আলম টিয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ ও সিএসপিবি প্রকল্প ফেইজ-২ এর শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মী সেনারুল ইসলাম প্রমূখ। প্রসঙ্গত, শিশু মুনিশার পিতা মোস্তাক আলী শারীরিক প্রতিবন্ধী ও মাতা মুনজিলা বেগম মানসিক প্রতিবন্ধী।