মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলা পরিষদ ভবনের নির্মাণ কাজ সমাপ্তির ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও আটকে আছে উদ্বোধন। দুইদফা উদ্বোধনের উদ্যোগ নিলেও ভেস্তে যায় উদ্যোগ। ফলে ৭ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এ ভবন ও হলরুম পড়ে রয়েছে অব্যবহৃত অবস্থায়। জানা যায়-প্রথম দফায় উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম না রাখায় জটিলতার সৃষ্টি হলে করোনা মহামারীর কথা বলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২৬ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধনের উদ্যোগ নিলেও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদারের স্বাক্ষরিত এক পত্রে বাদ দিতে হয় দ্বিতীয় দফার উদ্যোগও। ফলে, আবারও পেছালো ভবনের উদ্বোধন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়-গত বছরের ৭ জুলাই ভবনটি উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম উদ্বোধন ফলকে না থাকায় এসময় উদ্বোধনে জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরে করোনা পরিস্থিতির কথা বলে বন্ধ করা হয় অনুষ্ঠান। উপজেলা পরিষদের সভায় উদ্বোধনী নামফলকে উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি সংসদ সদস্যেও কাছ থেকে অনুষ্ঠানের সময় চাইতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পত্র দেন উপজেলা চেয়ারম্যান। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ না করায় চেয়ারম্যান আবারো স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর পত্র পাঠান। ওই পত্রে উল্লেখ করেন- স্থানীয় আওয়ামীলীগের অন্তর্দ্বন্ধের কারণে সংসদ সদস্য ভবনটি উদ্বোধনে আগ্রহ প্রকাশ করছেননা। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান বহিঃবাংলাদেশ ছুটিতে থাকাবস্থায় ভবনটি উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ স্থগিত রাখতে ইউএনওকে পত্র লিখেন এবং ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি লন্ডনে চলে যান। ১৬ ফেব্রুয়ারি সংসদ সদস্য ইউএনওকে পত্র দিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় ভবন উদ্বোধনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। ইউএনও বিষয়টি পরিষদকে না জানিয়েই উদ্বোধনের জন্য বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রকৌশলীকে পত্র পাঠান। কিন্তু, উপজেলা চেয়ারম্যান বহিঃবাংলাদেশ ছুটি শেষে দেশে ফিরলে ভবনের উদ্বোধন করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার এক পত্রে জানান। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার মিতা প্রশিক্ষণে চলে যান। ফলে, আবারো উদ্বোধন আটকে যায়।