কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া নামে খ্যাত মাতারবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী নতুন বাজার ১৪২৯ বাংলা সনের ইজারাদার মো: আরমান এর প্রাণ এখন যায় যায় অবস্থা হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগে ক্ষতিগ্রস্ত মো: আরর্মানের দায়ের করা রিট পিটিশন ১৪৭০ /২০২৩ নং এর আদেশ নিষ্পত্তি না করে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১৪৩০ বাংলা সনের জন্য উক্ত বাজারটি নতুন ভাবে গত ২০ ফেব্রুয়ারী ইজারা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার ফলে ১৪২৯ বাংলার ইজারাদার আরমানের ১৫ লাখ টাকার লোকসান মাথায় নিয়ে এখন পথে পথে! হাইকোর্টে শরণাপন্ন দিকে থাকিয়ে আছে ওই ভোক্তভোগি। উপজেলার মাতারবাড়ীর সিকদার পাড়ার মোঃ আরমান মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গত ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর লিখিত ভাবে জানান, তিমি ১৪২৯ বাংলা সনের সর্বোচ্চ ডাককারী হিসেবে নতুন বাজার টি ইজারা গ্রহণ করেন। কিন্তু পার্শ্ববর্তী আলতাফ উদ্দীন বাজারে সকালে মাছ বাজার চালু করায় কাঁচা মাছ বেপারীরা প্রতিদিন ঐ বাজারে নিয়মিত মাছ বিক্রি করে আসছে। যার ফলে সকালে মাছ বাজার না হওয়ায় ইজারাদার আরমানের এ খাতে কয়েক লাখ টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে। অপরদিকে বাজারের ড্রেনের উপর প্রভাব শালী মহল দোকান নির্মাণ করায় ভ্রাম্যমাণ দোকান বসাতে না পারায় ঐ খাতে ও কয়েক লাখ টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে। এমনকি প্রায় ১৫ লাখ টাকার লোকসানে পড়েছেন। এসব অভিযুক্ত আলতাফ মার্কেটে সকালে মাছ বিক্রি বন্ধ ও ড্রেন থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে ইজারাদারের সু-ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানন। তা সত্বে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত আরমান সর্শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের ১৪৭০ /২০২৩ নং রিট পিটিশন দায়ের করেন। হাইকোর্ট বিভাগ তা আমলে নিয়ে অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বাজারটি অন্য জনকে গত ২০ ফেব্রুয়ারী ইজারা দিয়েছে। যার কারনে ১৪২৯ বাংলা সনের ইজারাদার মোঃ আরমানের অন্তত পক্ষে ১৫ লাখ টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে বলে দাবী তোলেন তিনি। এ ব্যাপারে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে দায়ের করা রিট পিটিশনের প্রতি তিনি আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক সুনির্দিষ্ট রোল জারি না করায় বৈধভাবে বাজারটি ইজারা দেওয়া হয়েছে।