ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বিহারীমোড় নদীপাড়া আবাসিক এলাকায় মমতাজ ভবন নামে একটি বাসাবাড়ির নিচতলার বাম পাশের ফ্ল্যাটে দীর্ঘদিন ধরে চলছে রমরমা চকবার,কোন, কাপসহ নানা ধরনের আইসক্রিম এবং রোবো ও ললি বিক্রির রমরমা ব্যবসা। খাদ্যদ্রব্য বিপণনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে মেয়াদ ও বিএসটি আই এর অনুমোদনহীন এসব শিশু খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করে চলেছেন মেসার্স মারুফ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মারুফ হোসেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,নদীপাড়ার আবাসিক এলাকায় ঐ বাড়ির ফ্ল্যাটের তিনটি রুমের মধ্যে দুইটা রুমে বড় ২টি ও ছোটো ২ টি ফ্রীজ ও ১০টি মাঝারি সাইজের ককশিট এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রায় ২০ বস্তা রোবো পড়ে রয়েছে।ফ্রিজে থাকা অধিকাংশ আইসক্রিমে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ নেই। শুধু তাই নয় নিন্মমানের আইসক্রিম ও রোবোর প্যাকেটে বিএসটি আই এর সীল লাগিয়ে তার নিচে খুব ছোটো অক্ষরে লেখা হয়েছে বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত নয় । ফ্ল্যাটের সর্বত্রই ময়লা-আবর্জনা ও নোংরা স্তুপে পরিপূর্ণ। এমনকি বাথরুমেও রাখা হয়েছে আইসক্রিমের কাটুনসহ আইসক্রিম।শুধুমাত্র পপৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে তিনি তার ব্যাবসা পরিচালনা করছেন বলে জানা যায়। এভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ব্যবসা চালালেও দায়িত্বশীল ব্যক্তিগণ এসব দেখেও দেখেন না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। মেসার্স মারুফ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মারুফ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি দীর্ঘদিন এভাবেই ব্যবসা করে যাচ্ছি।কালীগঞ্জ পৌরসভার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আমার এখানে এসে দেখেও গেছেন। উনি তো কোন আপত্তি জানান নি। কালীগঞ্জ পৌরসভার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন জানান,আমি যখন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম তখন সেখানে তেমন কোনো মালামাল পায়নি। ইতোমধ্যে উনি লাইসেন্সের জন্য টাকা জমা দিয়েছে। নিয়মবহির্ভূত কিছু হলে অবশ্যই তা খতিয়ে দেখা হবে। সহকারী কমিশনার(ভূমি) হাবিবুল্লাহ হাবিব জানান, বিএসটি আই এর অনুমোদনবিহীন যেকোনো খাদ্যদ্রব্য বাজারজাত করা আইনত দ-নীয় অপরাধ। আবাসিক এলাকায় এধরনের ব্যবসা যদি কেউ করে থাকে তাহলে তা খতিয়ে দেখে অপরাধ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।