বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন

সাড়া জাগানো লেখিকা বাণী বসু

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩

সুপরিচিত এবং স্বনামধন্যা লেখিকা বাণী বসু ১৯৩৯ সালের ১১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ লেখেন। অনুবাদও করেন। একাধিক সাহিত্য পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিতা বাণী বসু আশির দশক থেকেই সাড়া জাগানো জনপ্রিয়তার অধিকরিণী। বাণী বসু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন। তিনি ছাত্রী জীবন থেকেই নানা প্রবন্ধ, অনুবাদ গল্প ও কবিতা রচনায় পারদর্শিতার নজির রাখেন। তাঁর প্রথম গল্প আনন্দমেলা ও দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৯৮১ সালে। প্রথম উপন্যাস ‘জন্মভূমি মাতৃভূমি’ প্রকাশিত হয় শারদীয়া আনন্দলোকে ১৯৮৭ সালে। কিন্তু তার আগেই তাঁর অনেক অনুবাদ প্রকাশিত ও আদৃত হয়েছে। তাঁর উল্লেখ্য অনুবাদগুলি হল : শ্রী অরবিন্দের সনেটগুচ্ছ, সমারসেট মমের সেরা প্রেমের গল্প, এইচ ডি লরেন্সের সেরা গল্প।
বাণী বসু তাঁর আত্মকথায় লিখেছেন, “… অনেকেই প্রশ্ন করেন আমি নারীবাদী কিনা বা এই নারীবাদ দ্বারা কতটা প্রভাবিত। বলে রাখি, আমি কিন্তু কোনো ইজম-এ বিশ্বাসী নই। আমি নিজে একজন নারী, তাই সমাজে তাদের অবস্থান, দুঃখ-যন্ত্রণাটা চোখে পড়ে বেশি। পুরুষরাও মেয়েদের কথাই লেখে কিন্তু কার্যক্ষেত্রে স্থান দেয় না। সামাজিক পরিসরেও নিষ্পেষিত তারা। ৪৯৮-এ ধারা থাকলেও তার সুযোগ নেয় একদল মতলবী মহিলা। যাদের সত্যিই প্রয়োজন, তারা লজ্জা কাটিয়ে উঠে আসতে পারে না আদৌ। একটা কথা বিশ্বাস করি, ইজম বা বাদ-এ বদ্ধ হলে স্বাধীনতা নষ্ট হয়। লেখকের সৃষ্টি ক্ষমতা কিন্তু আর থাকে না। বিশ্বায়নের এই যুগ কিন্তু বাজার-সর্বস্ব। বড় পাবলিশিং হাউসগুলো মনে করে, পাঠক যেমন চায়, লেখককেও তেমনই লিখতে হয়। বাজারের চাহিদা গ্রাস করেছে লেখককেও। গলা টিপে ধরা হয়েছে সাহিত্যের। এসএমএস, নেট, চ্যাটিং, ডেটিং —এই হালফ্যাশনের আধুনিকতাকে বিষয় করেই তাই এগোতে হচ্ছে সাহিত্যকেও। নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গী, গভীরতা, দর্শন —এসবের স্থান কমে যাচ্ছে। এভাবে সাহিত্য হয় না। আমাদের সংস্কৃতি, ধর্মাচরণের যে বৈচিত্র্য, তাই হারিয়ে যাচ্ছে। টহরভড়ৎসরঃু রং ধ করষষবৎ. এমতাবস্থায় ডিকেন্স হার্ডিকেও নির্দিষ্ট বিষয় বলে দিয়ে সাহিত্য রচনা করতে দিলে, তাঁরা তা কতদূর পারতেন সন্দেহ আছে। এই ক্ষয়িষ্ণু সমাজের দায় কিছুটা সাহিত্যকেও নিতে হচ্ছে। আর তাই আজ তার গতিপথ রুদ্ধ। যাপনের একঘেয়েমি গ্রাস করেছে সাহিত্যকে…।”
সাহিত্যে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন বহু পুরস্কার:তারাশঙ্কর পুরস্কার ১৯৯১,আনন্দ পুরস্কার ১৯৯৭,বঙ্কিম পুরস্কার ১৯৯৯,সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার ২০১০।
বাণী বসুর কয়েকটি বিখ্যাত উপন্যাস :জন্মভূমি মাতৃভূমি,মৈত্রেয় জাতক,অন্তর্ঘাত,কিনার থেকে কিনারে
উত্তরসাধক,পঞ্চম পুরুষ,বৃত্তের বাইরে,রাধানগর,কাকজ্যোৎস্না,একুশে পা,অশ্ব যোনি,ফেরো মন,অষ্টম গর্ভ
(গুগল সহায়তায় সম্পাদিত)




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com