রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন

মাদারীপুরের শিবচরে বাস খাদে নিহত ২০

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩

মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২০ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলম। মারা যাওয়া দুজনের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে ঢামেক সূত্র জানায়, গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে এই দুজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরে তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। লাশ দুটি কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। তিনি আরও বলেন, এই দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন এখন এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসাধীন সাতজন হলেন আ. হামিম (৫৫), শেখ ফয়সাল আহমেদ (৪০), বদরুদ্দোজা (৩০) পংকজ কান্তি ঘোষ (৫০), ঝুমা আক্তার (৩৪), মো. এনামুল (৪০) ও বুলবুল (৫০)।গতকাল রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এতে বাসটি রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মাদারীপুরের এসপি মাসুদ আলম বলেন, খুলনা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসটির সামনের ডান পাশের চাকা এক্সপ্রেসওয়েতে ফেটে যায়। এতে বাসটি রেলিং ভেঙে পাশের খাদে পড়ে যায়। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারপ্রতি ২০ হাজার টাকা ও আহত যাত্রীদের ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
‘এক্সপ্রেসওয়েতে এত বড় দুর্ঘটনা আগে কেউ দেখেনি’: ‘পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে কম–বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে মহাসড়কের রেলিং ভেঙে বাস খাদে পড়ে এত প্রাণহানির ঘটনা আগে ঘটেনি। এটি এক্সপ্রেসওয়েতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।’ কথাগুলো বলেছেন কুতুবপুর এলাকার হায়দার আলী। দুর্ঘটনার পর তিনি একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন। মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় গতকাল রোববার সকালে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ১৬ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ভোর চারটার দিকে খুলনার ফুলতলা থেকে বাসটি ছাড়ে। পরে ভোর ৫টা ৫ মিনিটে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসটি যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা হয়। বাসটির চালক সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, বাসটি ভরা যাত্রী ছিলেন। সড়ক থেকে বাসটি পড়ার সময় উল্টে যায়। এ কারণে এত প্রাণহানি। উদ্ধারকর্মী চন্দন রায় বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে এর আগেও বাস, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় পড়েছে। কিন্তু এবারই প্রথম বাস খাদে পড়ে ১৬ জন মারা গেছেন। এক্সপ্রেসওয়েতে চালকেরা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালান, যা এখানে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।

শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক বলেন, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছেন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণে বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি খাদে পড়ে যায়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com