ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, “ আমরা সবাই মিলে এক সাথে যুদ্ধ করেছি। এক সাথে জীবীকার সন্ধানে । সবার রক্তের বিনিময়েই আজকের লাল সবুজের পতাকার বাংলাদেশ। আমরা সবাই বাঙ্গালী। আমরা কেউ সংখ্যাগরিষ্ট বা সংখ্যালঘু নই। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এই ঐতিহ্য রক্ষা করতে সকল ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিভেদ নয়, ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে, দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বাঙ্গালী হিসেবে যার যার অধিকার আদায় করে নেওয়ার রাইট সবারই আছে।” তিনি মঙ্গলবার নাটোরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপে এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, নাটোর ও নওগাঁ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রতœা আহমেদ, পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। এ সময় বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত ও বিভিন্ন ধর্মের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ধর্মীয় নেতারা দেশের সুনাগরিক। তাদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে ধর্মের বাণী যথাযথভাবে প্রচার করে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। দেশে শান্তি-সম্প্রীতি অব্যাহত রাখা গেলে উন্নয়নের কাংখিত গন্তব্যে দেশ অনায়াসে পৌঁছে যাবে। পদ্মা সেতু চালুর ফলে দেশের ডিজিপি দুই শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরো ১০টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ডিজিপি দ্বিগুণ হবে। সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ধর্ম নিরপেক্ষতার অর্থ ধর্মহীনতা নয়, সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। এই নীতি আমাদেরকে সকলের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে শেখায়, মানবিক আচরণ করতে শেখায়। উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির কারনে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাকের মত দেশ বিপন্ন হয়ে গেছে। তাই এদেশে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই।