দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার পুরনো সরকারি ভবনগুলোতে ফাটল, ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনে আতঙ্কে চলছে কার্যক্রম। অফিস ছাদের প্লাস্টার খুলে পড়ছে মাথায়। অল্প বৃষ্টির পানি চুয়ে পড়ে অফিসে। এতে গুরুত্বপূর্ণ সব সরকারি কাগজপত্র ভিজে নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। একটু বৃষ্টি এলেই কাগজপত্র ঢাকতে তাই পলিথিন নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায় অফিস সহায়কদের। বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সেটেলমেন্ট, খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যালয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। দেখা যায়, সেটেলমেন্ট কার্যালয়ের ছাদের কয়েক স্থানে ফাটল ধরেছে। ছাদের প্লাস্টার ঝড়ে পড়ছে। খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের দু’টি রুম রয়েছে। রুম দুটিতে বৃষ্টি হলেই ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। আকাশে মেঘ দেখা দিলেই আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাজগপত্র পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখে অফিস কর্মচারী-কর্মকর্তারা। সেটেলমেন্ট অফিসে সেবা নিতে আস একজন গ্রাহক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জমির কাগজ ঠিক করতে এই অফিসে আসছি। কিন্তু অফিসের বেহাল দশা, ভবনটিতে ফাটল ধরেছে, এখানে থাকা বিপদজনক। একজন অফিস কর্মচারী সান্টু মিয়া বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেটেলমেন্ট অফিসে কাজ করতে হচ্ছে। কিছুদিন আগে ছাদের প্লাস্টার খুলে আমার মাথায় পড়ে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম, বেশ কয়েকটা সেলাই মাথায় করতে হয়েছিলো। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অফিস সহায়ক রাশেদ মিয়া বলেন, পুরনো কোর্ট ভবনে আমাদের ষ্টোর রুম। কিন্তু ভনবটি পুরনো হওয়ায় ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়েরও একই অবস্থা। সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন শেখ বলেন, কিছুদিন আগে এই অফিসে যোগদান করেছি। যোগদানের পর দেখছি এই অফিসটি ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারী অফিস আতঙ্কে থাকতে হয়, অফিসটির সংস্কার দরকার। তা না হলে যেকোন সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-এ-আলম বলেন, উপজেলা চত্ত্বরে অবস্থিত সেটেলমেন্ট ও সাব-রেজিস্ট্রার ভবনটি রয়েছে এটি একটি পুরাতন ভবন। এর আগেও সংস্কার হয়েছিলো। তবে ভবনটি বর্তমান ব্যবহারযোগ্য নই। ইতিপূর্বে গণপূর্ত বিভাগে এই ভবনের তালিকে চেয়েছিলো, আমরা দিয়েছি, আশা করি নতুন করে ভবনটি তারা তৈরি করবেন। এছাড়াও আমাদের উপজেলা প্রশাসন ভবনটি রয়েছে, এখানও অনেক সমস্যা এবং অফিস সঙ্কট। আমরা প্রশাসনিক ভবনের জন্য তালিক সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি। আশা করছি নতুন করে ভবনগুলো তৈরি হলে আর কোন সমস্যা থাকবে না।