নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের ময়মনসিংহ পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের নাম হলো বকুলগাও। বুধবার (২২ মার্চ) চতুর্থ পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাঠে বকুল ফুলের গাছের চারা রোপন করে এর নাম বকুলগাও রাখেন সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারী সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর। উক্ত অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, লক্ষীচাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান, ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ্ ফকির প্রমূখ। এতে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন আমার পিতা যে কাজগুলো করে যেতে পারেন নাই আমি সেই কাজগুলো করার চেষ্টা করছি। এবং সেই জন্য তিনি বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য যা যা করা দরকার তাই তাই করে যাচ্ছেন তিনি।’ তিনি আরও বলেন,‘আমাদের উপজেলা নির্বাহী মহদয়কে বলেছি উপজেলায় যতগুলো আশ্রয়ন প্রকল্পে রয়েছে সবগুলোতে ফুলের চারা রোপন করার জন্য।
এই আশ্রয়ন প্রকল্পের নামগুলো যেনো ফুলের নামে করা হয়। আজ আমি এই আশ্রয়ন প্রকল্পে একটি বকুলফুল গাছের চারা রোপন করলাম। আজ থেকে এই আশ্রয়নের নাম বকুলগাও।’ এসময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইবনুল আবেদীন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, লক্ষীচাপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামচরণ রায়, টুপামারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে সকালে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে ‘বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে চতুর্থ পর্যায়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নীলফামারী সদর উপজেলা ও কিশোরগঞ্জকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় পর্যায়ে জেলার ডিমলা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়। বাকি ৫ উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ে ৬৭৮টি ঘর বরাদ্দ হয়। এরমধ্যে নীলফামারী সদরে ১২০টি, ডোমারে ১৩৯টি, জলঢাকায় ১২৮টি, কিশোরগঞ্জে ৪৫টি ও সৈয়দপুরে ২৪৬টি রয়েছে। এর মধ্যে আজ বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জেলার ৬৭৮টি ঘরের মধ্যে ৪৮০টি ঘর গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করেন। জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ‘আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা সদর ও কিশোরগঞ্জকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেন। ঘোষণা করার পরও কোনো কারণে নতুন করে কেউ ভূমিহীন এবং গৃহহীন হলে ওই সব পরিবারকে একই ধরণের প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হবে।