টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার শস্য ভা-ার খ্যাত মুশুদ্দি গ্রামে কৃষিতে একের পর এক সম্ভাবনা ও সাফল্যের গল্প রচিত হচ্ছে। চাকরির পেছনে না ছুটে শিক্ষিত যুবকরাও উচ্চমূল্যের সবজি করলার চাষ করে পেয়েছেন ব্যাপক সফলতা। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মাঁচা পদ্বতিতে হাইব্রিড জাতের করলা চাষ করছে প্রায় গ্রামের কৃষক। এ অঞ্চলের মাটি করলাসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষের জন্য উপযোগী। গত বছরের তুলনায় কৃষকেরা এ বছর চলতি মৌসুমে বেশী পরিমান জমিতে করলা চাষ করেছেন। বর্তমানে করলার ফলন ও দাম বেশী থাকায় খুশি কৃষকেরা। বর্তমান সময়ে কৃষকের ক্ষেতে মাঁচায় ঝুলছে বিভিন্ন জাতের করলা। তারা করলার ক্ষেতে সেচ, নিড়ানি, ফল সংগ্রহ ও বাজারজাত করণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার মুশুদ্দি দক্ষিণ পাড়া গ্রামের করলা চাষি সুজন বলেন, এ বছর ১ একর জমিতে করলা চাষ করেছি যা গত বছরের তুলনায় বেশি। বর্তমানে তিনি করলা মন প্রতি ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২ শত টাকা দরে বিক্রি করছেন। এ বছরে বাজার দর ও আবহাওয়া ভালো থাকলে এ জমিতে ২ লক্ষাধিক টাকার মত করলা বিক্রি করতে পারবেন। উপজেলার মুশুদ্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, করলা চাষে গোবর সার, খৈল, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। সেই জমিতে শীতকালীন ফসল আলু চাষ করতে তাদের বেশি সার প্রয়োগ করতে হয় না। ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, জমি থেকে করলা উঠানোর পর কৃষকেরা ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, আলু ও পালং শাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির লাগাতে পারবেন। আর আমরা সর্বক্ষণ কৃষকের পরামর্শ দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। ধনবাড়ী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ মাজেদুল ইসলাম জানান, ধনবাড়ী উপজেলায় করলার চাষ হয়েছিল ৬০ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়াও ৫৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন রকমের সবজি রয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ করলা সহ বিভিন্ন সবজি চাষের জন্য কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করে হচ্ছে।