নীলফামারী জলঢাকায় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সরকারি জায়গা দখল করার মহাউৎসব চলছে।উপজেলা সাবরেজিস্টার অফিসের প্রবেশদ্বার (মেইন গেট) স্থানেই নির্মান করার মাধ্যমে নিজ দখলে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে দুই দলিল লেখকের মধ্যে। জানা যায়, প্রতিহিংসা পরায়নে দখল হচ্ছে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সরকারি জমি। মেইন গেট সংলগ্ন জায়গাটিতে স্থাপনা তৈরীর মাধ্যমে দখলে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় জনমনে নানান প্রশ্ন উঠেছে। তবে আশ্বচর্য্যের বিষয় হলো সাব-রেজিস্ট্রারের সরকারি জমি ব্যক্তি দখল ধরলেও অফিস কর্তৃপক্ষ রিতিমত নির্বিকার। অত্র অফিসের উর্ধ্বতন কর্তা, দলিল লেখক সমিতির ভ্যাটাং ভ্যাটাং নেতা কিংবা স্থানীয় প্রসাশন কেউ জানে না সরকারি সাব-রেজিস্ট্রারের জমি দখল হচ্ছে। অথচ প্রকাশ্য দিবালকে নির্মান শ্রমিক কাজ করছে দিব্বী। গতকাল সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেইন গেট সংলগ্ন স্থানে ইট,বালু, সিমেন্ট ও খোয়ার মিশ্রনে নির্মান কাজ চলছে। এ সময় এগিয়ে আসেন পশ্চিম বালাগ্রাম সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাসানুর রহমান সরকারের পুত্র শরিফুল ইসলাম তারেক(৪২) তিনি বলেন, এ জায়গাটি আমিই নির্মান করতেছি। আমার বসার জায়গা নেই। তাই এখানে বসার ব্যবস্থা করছি। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা তারেক সাহবকে প্রশ্ন করেন, মেইন গেটে প্রতিবদ্ধগতা সৃষ্টি করে নির্মান করছেন এতে তো সাধারণ মানুষের চলাফেরার বিঘœতা সৃষ্টি হবে। এমন প্রশ্নের উত্তরে শরিফুল ইসলাম তারেক অভিযোগ করে বলেন, এখানে যদি প্রতিবদ্ধগতা সৃষ্টি হয় তবে অফিস বন্ধ থাকা সত্যেও কোন ক্ষমতার বলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজম সরকার মেইন গেট সংলগ্ন স্থান দখল করলেন। এ জন্য আমিও দখল ধরেছি। এ বিষয়ে জলঢাকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজম সরকারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, সাব-রেজিস্ট্রারের এই জায়গা আমি দখলে নেইনি। আমার ভাই দখলে নিছে। সেখানে আমার নাম আসবে কেন..! এ বিষয়ে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মনিষা রানী রায় বলেন, নির্মান প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক ভাবে আমি বাঁধা নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তারা আমার কথা অগ্রাহ্য করে পুনরায় গেট সংলগ্ন ওই জায়গা দখল করে নির্মানকাজ করছেন। এ সময় সাব-রেজিস্ট্রার মনিষা রানী রায় গণমাধ্যমেকর্মীদের আশ্বন্ত করেন, নির্মান হলেও আজ বিকালের মধ্যেই সব গুড়িয়ে দেয়া হবে। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা হয় নীলফামারী জেলা রেজিস্ট্রার ডি,আর সাকাওয়াত হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে দৈনিক খবর পত্রকে জানান, সরকারি জমি দখলে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।