গতকাল পলাশবাড়ী উপজেলার আসমতপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের আহ্বানে তার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন ১নং বিবাদী আবুল কালাম আজাদ, পিতা- মোজাম্মেমল হক, ২নং বিবাদী হযরত শেখ, পিতা-মুনছুর শেখ ৩নং বিবাদী আমজাদ আলী পিতা- এনতাজ আলী, সকলের সাং-গৃধারীপুর, এবং ৪নং বিবাদী মকবুল হোসেন, পিতা- আবুল হোসেন, সাং- নুনিয়াগাড়ী, সর্ব থানা- পলাশবাড়ী, জেলা- গাইবান্ধা। আমি পৌর শহরে বাসা ভাড়া থাকায় ১নং বিবাদীর আমার সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সুবাদে ১নং বিবাদী আমাকে গরুর খামার ও ব্যবসা করার জন্য ২ মাসের মধ্যে ঢাকা ব্যাংক মতিঝিল শাখা থেকে ১ কোটি টাকা লোন করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। আমি সরল বিশ^াসে তার প্রস্তাবে রাজি হলে ১, ২, ও ৩নং বিবাদীয় দেওয়া ঘর ভাড়ার ৩ খানা ভুয়া দলিল সৃষ্টি করে। আমাকে ঢাকা ব্যাংকে ৩০ লাখ টাকা সঞ্চয় জমা দেখাতে হবে এই প্রস্তাব দিয়ে ২৫/০৮/২০২২ইং তারিখে ১০ (দশ) লাখ টাকা, ৬টি ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে এবং ১টি সাদা চেকে সাক্ষর করে নেয় এবং পরবর্তিতে ২৮/০৮/২২ইং তারিখে ১৩ (তের) লাখ টাকা গ্রহন করে ঢাকা ব্যাংক বগুড়া শাখার মাধ্যমে ঢাকা শাখায় জমাদানের কথা বলে। এসময় পৌর সভার ৩ খানা ট্রেড লাইসেন্স ও ২,৩ ও ৪নং বিবাদীর স্বাক্ষর কৃত ৩ তিন খানা ঘড় ভাড়ার দলিল সম্পাদন করেন। পরবর্তীতে আমি খোজ করে জানতে পারি ২,৩ ও ৪নং বিবাদীর কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাই। আমি তাদের জালিয়াতির বিষয় বুঝতে পেরে গত ২০/০৯/২২ইং তারিখে র্যাব-১৩ বরাবরে আবেদন করিয়াছি, সেখানেও তদন্ত আছে। আমি বিবাদীগণের প্রতারনার বিষয় বুঝিতে পারিয়া ০৩/০২/২০২৩ইং তারিখে আমি স্বাক্ষীগন সহ ১নং বিবাদীর বাড়ীতে গিয়া আমার দেওয়া ২৩ (তেইশ) লাখ টাকা ফেরত চাইলে সে আমাকে অপমান করিয়া তাড়াইয়া দেয়। ফলে আমি নিরুপায় হইয়া ১৯/০২/২০২৩ইং তারিখে বিজ্ঞ আমলী আদালত গাইবান্ধায় ৫২/২০২৩নং মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলাটি পিবি আই কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার দেয়া ২৩ লাখ টাকা, ১০০/- টাকার ৬টি নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প, ব্লাঙ্ক চেকে স্বাক্ষর করা একটি ফাঁকা চেক, আমার ছবি এবং আইডি কার্ড উদ্ধার কল্পে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এসময় তার সাথে ছিলেন স্ত্রী হাফিজা বেগম আঁখি, মেয়ে রোকসানা আকাতর ও নাতি সোহেলী আকতার।