মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন ঘোষণা করলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে এক ইঞ্চি কৃষি জমিও যেন অনাবাদি থাকবে না। ঠিক সেই মুহুর্তে নেত্রকোনা জেলার, আটপাড়া উপজেলার দুওজ ইউনিয়ন এর মোগলহাট্টা গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলীর ছেলে প্রান্তিক কৃষক মো: দেলোয়ার হোসেনের ৮০ শতাংশ ফসলী জমির বোরো ধান প্রকাশ্য দিবালোকে কেটে নিয়ে প্রায় ১২০,০০০ (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং বসত বাড়িতে লাঠি সোটা নিয়ে এসে নারকীয় তান্ডব চালায় একই গ্রামের মাস্তান তোফাজ্জল গং। দেলোয়ারের অপরাধ সে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে সরকারি জমি লীজ নিয়ে আবাদ করে ফসল ফলানো। তোফাজ্জল একজন গ্রাম্য গুন্ডা প্রকৃতির উঠতি বয়সের মাস্তান। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন জনের নিকট থেকে চাঁদা বাজির মাধ্যমে টাকা পয়সা নিয়ে আত্মস্যাত করে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর বরাত দিয়ে এবং আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তোফাজ্জল গং। স্বাধীনতার মাসে মুক্তি যোদ্ধাসন্তানের ফলানো ফসল নষ্ট করেছে স্বাধীন দেশের তথাকথিত লুঠেরা শ্রেণির পাকি বংশধর। তোফাজ্জল এর পূর্ব পুরুষ স্বাধীনতা বিরুধী অপশক্তির সহিত হাত মিলিয়ে মুক্তি যোদ্ধাদের পরিবার পরিজনদের আর্থিক ও মানবিক ক্ষতি করেছে। কথিত আছে ভাটি বাংলার রাখাল রাজা খ্যাত তৎকালীন বঙ্গবন্ধুর সহচর প্রয়াত খালেক (এম পি) মহোদয়কে নৃশংস হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলো তোফাজ্জল এর পূর্ব পুরুষ গন। এ বিষয়ে আটপাড়া থানায় মুক্তিযোদ্ধার সস্তান দেলোয়ার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আটপাড়া থানা পুলিশের দিকে সকল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার তাকিয়ে আছে দোষী ব্যক্তিদের নামে এফ আই আর দায়ের করে বিচারের আওতায় আনেন কিনা! ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল পদস্থ রাজনৈতিক এবং এস পি নেত্রকোনা মহোদয়কে ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা যাইতেছে উক্ত জঘন্য ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের ব্যবস্থা করিয়া তোফাজ্জল গংদের উপযুক্ত শাস্তির বিধানের ব্যবস্থা করা হয়।