অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় দেশের উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে তরমুজের ব্যাপক ক্ষতির সঙ্কা। গত এক সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন ভাড়ি বৃষ্টিপাতে তরমুজ ক্ষেত গুলো পানিতে প্লাবিত হতে দেখা গেছে। আর কিছুদিন এমন বৃষ্টি চলতে থাকলে কৃষকের লক্ষ লক্ষ টাকার সোঁনালী স্বপ্ন পানিতে ভেসে যাবে বলে যানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। জানা গেছে, তরমুজের বীজ, কীটনাশক, সার ও ডিজেলের দিন দিন মূল্যবৃদ্ধির পরেও গতবছরের তুলনায় এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছিল বলে দাবি কৃষি বিভাগের। সারাদেশে যে পরিমাণ তরমুজের চাহিদা ছিল তার একটি অংশের যোগান দিত এ উপকূলীয় অঞ্চলের চাষিরা। এখানকার তরমুজের ভাল স্বাদ ও সুমিষ্ট হওয়ায়, দেশজুড়ে এর বাড়তি চাহিদাও ছিল। ভালো ফলন ও বেশি লাভের আসায় এবার রবি/২০২২-২৩ তরমুজ, মৌসুমের আমন ধান কাটার পরপরই পরিবার-পরিজন নিয়ে মাঠে নেমেছিল চাষীরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছরে ৫৬ একর ৬ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়ে ছিলো। কিন্ত উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের পুটিয়াখালী, বিবিচিনি, বেতাগী সদর ইউনিয়নের পূর্ব রাণীপুর, হোসনাবাদের দক্ষিন বাসন্ডা, দক্ষিন হোসনাবাদ, মোকামিয়া ইউনিয়নের করুনা, মোকামিয়া মাদ্রাসা, চরখালী, বুড়ামজুমদারের পূর্ব বুড়ামজুমদার, পশ্চিম কাউনিয়া ও কাজিরাবাদ ইউনিয়নের আয়লা চান্দখালী, পূর্ব কাজিরাবাদ ও কাজিরাবাদ গ্রামে লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে তরমুজজের আবাদ করা হয়েছিল। সব কিছু ঠিক থাকলে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি জমিতে তরমুজ আবাদে এ অঞ্চলের কৃষকের সোঁনালী যুগ রচনা হতে পারত। গতকাল দুপুরে উপজেলার বুড়ামজুমদার গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা তরমুজ চাষী রুবেল গাজী(৩৫) জানান, “বৃষ্টি না হওয়ায় মাঝে মাঝে আমরা তরমুজ ক্ষেতে পানি দিতাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি জমে, চরম দুর্ভোগের সৃষ্ট হয়েছে। ইতিমধ্যে আমার দুই থেকে তিন হাজার তরমুজ নষ্ট হয়েছে। কপালে কি আছে আল্লাহই ভালো যানে”