নরসিংদীর মনোহরদীতে চুরির অভিযোগে ছেলেকে না পেয়ে বাড়ি থেকে বাবাকে ধরে এনে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্যাতন। এমন ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া ও মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ৪নং খিদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কাউছার রশিদ বিপ্লব।
শুক্রবার বিকেলে খিদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ইউপি সদস্য গোলাপ মিয়া, দুলাল মিয়া, শফিকুল ইসলামসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান কাউছার রশিদ বিপ্লব বলেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আঙ্গুর মিয়ার ছেলে সাদিকুল ইসলাম সোহাগ মিয়া নামে এক ব্যক্তির ছাগল চুরি করে। পরবর্তীতে কটিয়াদী বাজারে বিক্রি করতে গেলে বাজারের লোকজন তাকে সন্দেহ করে আটক করে। পরে ছাদিকুলের বাবা আঙ্গুর আকনকে ফোন করলে তিনি সেটা নিজের ছাগল বলে জানান। তিনি আরো বলেন, ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে সত্যতা যাচাই করার জন্য কয়েকজন লোক ছাগল বহনকারী সিএনজির চালককে সঙ্গে নিয়ে ছাদিকুলের বাড়িতে যান। এ সময় ছাদিকুলকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন তার বাবা আঙ্গুর আকন। তারা আঙ্গুরকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন এবং তার ছেলেকে সেখানে আনতে বলেন। কিন্তু আঙ্গুর তার ছেলেকে সেখানে আসতে নিষেধ করেন। ‘ইফতারের সময় কার্যালয়ে লোকজন না থাকার সুযোগে তার লোকজন দিয়ে আঙ্গুর মাটিতে লুটিয়ে পড়ার ভিডিও ধারণ করেন’ উল্লেখ করে কাউছার রশিদ বলেন, পরবর্তীতে তা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। প্রকৃতপক্ষে তাকে কেউ মারধর করেনি। এমনকি তাকে কোনো প্রকার কটু কথাও বলা হয়নি। ছাদিকুল এলাকায় একজন চোর হিসেবে চিহ্নিত। এ পর্যন্ত সে এলাকা থেকে শতাধিক গরু-ছাগল চুরি করেছে। চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র করে আসছে কতিপয় একটি কুচক্রীমহল। যারা সম্প্রতি এই চুরির ঘটনা নিয়ে আমার সুনাম ও ইমেজ ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে এবং আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে আমি ও আমার ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমাকে নিয়ে যে অপপ্রচার ও সংবাদ পরিবেশন হয়েছে সেগুলো আদৌ সত্য নয়। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি এসব সংবাদ ও মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।