লালকুঠি সাহিত্য পরিষদের আলোচনা সভায় ড. তারেক ফজল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক লেখক গবেষক ড তারেক ফজল বলেন,আমরা বিশ্বাস করি জ্ঞান হচ্ছে নূর বা আলো। পবিত্র মাহে রমজানে জ্ঞানের প্রধান উৎস পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। আমরা যারা জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করি গল্প,কবিতা,গান,প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখি. গবেষণা করি তাদের এই সত্য উপলব্ধি করে পথ চলতে হবে। তবেই আমরা আমাদের জীবন, সমাজ ও সংষ্কৃতিকে আলোকিত করতে পারবো।
তিনি গত ৩১ মার্চ লালকুঠি সাহিত্য পরিষদ লালকুঠি দরবার শরীফ মিলনায়তনে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ‘ রোজা আমাদের জীবনে সমাজে সাহিত্য সংস্কৃতিতে” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন। লালকুঠি সাহিত্য পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,লালকুঠি দরবার শরীফের সম্মাণিত পীর সাহেব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড আহসানুল হাদী সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইতিহাস ইতিহাসবিদ ও সাহিত্য সংস্কৃতি গবেষক জনাব আশরাফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক খবর পত্রের বার্তা সম্পাদক, কথাশিল্পী, লেখক, গবেষক সাংবাদিক মো. হারুন অর রশীদ (হারুন ইবনে শাহাদাত), নজরুল ফররুখ গবেষণা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লেখক গবেষক এমদাদুল হক চৌধুরী। লালকুঠি সাহিত্য পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক কবি আমিন আল আসাদ-এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে ছড়াশিল্পী ও কবি আতিক হেলাল, কবি তাজ ইসলাম, কবি মঞ্জু খন্দকার, কবি রবিউল মাশরাফী, কবি জামান সৈয়দী, কবি, ছড়াশিল্পী, শিশুসাহিত্যিক, গল্পকার ও সংগঠক শফিকুল আলম টিটন, সাহিত্যের ছোটকাগজ অহনা সম্পাদক কবি রহমান মাজিদ, কবি শাহজাহান মোহাম্মদ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। তরুণ ক্বারী ও স্বনামধন্য ইসলামী সঙ্গীতশিল্পী কাওয়াল মেজবা বিন বাশার এর সুললিত কন্ঠে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর এম এম কলেজের সাবেক ভিপি মো আবদুল কাদের, ইবনে আবদুর রহমান, তরুণ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা আবু সালেহ প্রমুখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও কবিতা পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি মো রফিক মিয়া, কবি সকিনা খান সিদ্দিকা, কবি আলমগীর হোসেন জোয়ার্দার, কবি সাঈদ আহমদ সাঈদ, কবি আবদুল ওয়াহেদ, মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন । ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন কন্ঠশিল্পী হাবিবুর রহমান, শিশুশিল্পী ইউজার্সিফ মোহাম্মদ আদনান, আবদুল্লাহ আল মুজাহিদ ফাহিম। কাওয়ালী পরিবেশন করেন শিল্পী মেজবা বিন বাশার। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জনাব আবু জাহিদ, আবুল ফাত্তাহ, সুলতান, মাশুক, ওয়াহেদ, নাঈম ও জয়নাল আবেদিন সুজন। ইফতার ও আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।