দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ীতে অস্বাস্থ্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থায় দেখা দিয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়। পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত সানন্দবাড়ী বাজারের মেইন রাস্তার কোল ঘেসে মাছ এবং কাচা বাজার মিলিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার ড্রেনের আবর্জনা ও পচা পানির দুর্গন্ধ বাতাসে মিশে ছড়িয়ে পড়ছে বাজারজুড়ে। ফলে চরম স্বাস্থ্যহানিতে ভুগছেন বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাসহ জনসাধারণ। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩০ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত সানন্দবাড়ি বাজারের যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। বাজারের মাঝখান দিয়ে মেইন রোড ঘেঁষে নির্মিত হয়েছে ড্রেন। দীর্ঘ দিন ধরে ড্রেনটির পুরো অংশ আবদ্ধ রয়েছে। ফলে ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানি নিষ্কাশিত হতে পারছে না। মানুষের চলাচলের রাস্তায় উঠে এসেছে ড্রেনের পচা পানি। ড্রেনের দুই পাশে অবস্থিত খাবার হোটেল, মসজিদ, ক্লিনিক, চায়ের স্টল, ফলের দোকান, কাঁচাবাজার, মাছবাজার, দুধবাজার। দোকানপাটের মধ্যে প্রবেশ করছে পচা পানি। সেই সাথে বেড়েছে মশার উপদ্রব। ডেঙ্গুজ্বরেও ভুগতে হচ্ছে বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাসাধারণকে। হাট ইজারাদার নজরুল ইসলাম টোকন বলেন, সানন্দবাড়ী হাটটি সরকারিভাবে ১কোটি টাকার উপরে ডাক হয়। যেহেতু সরকার এখান থেকে অনেক টাকা রাজস্ব পায়, সেহেতু বাজার উন্নয়নে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এ বিষয়ে সানন্দবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ সুরুজ্জামান বলেন, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলে আমাদের দোকানের মধ্যে পানি ঢুকে যায়। আমাদের বাজারে বৃষ্টির মৌসুমে ব্যবসা করতে হলে নানান ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এগুলো দেখার কেউ নেই। সানন্দবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক আলহাজ্ব আজিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অত্র বাজারের নোংরা পরিবেশ থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে ক্রেতা বিক্রেতাসহ পথচারী। কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। সানন্দবাড়ীয বাজার বণিক সমিতির সভাপতি গাজিউর রহমান বলেন, বাজারের ড্রেনগুলো মাটি পরে ভরাট হয়েছে, যাতে করে একটু বৃষ্টি হলেই বন্যার সৃষ্টি হয়।সরকারের কাছে আবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। চরআমখাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সানন্দবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এর সিনিয়র সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম লাভলু বলেন, বাজারের পানি নিষ্কাশনের জন্য যে সব ড্রেনেজ ব্যবস্থা আছে এইসব ড্রেসগুলো যদি দক্ষিণ ও পূর্ব পাশের জিনজিরাম নদীর সাথে এটাস্ট করে দেওয়া হয় তাহলে এই বাজারে পানি বদ্ধ থাকবে না। ফলে জনসাধারণের চলাচলের সুফল বয়ে আসবে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া বলেন, সানন্দবাড়ী হাটের উন্নয়নের জন্য এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশ কিছু দিন আগে অবহিত করা হয়েছে। তা ছাড়া বরাদ্দ না থাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে না। আশা করা হচ্ছে দ্রুত ড্রেন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা বলেন, সানন্দবাড়ী হাটের ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য ইউ পি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি, শীগ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।