সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন

ক্যাশবাক্সের ১৮ লাখ টাকা আনতে আগুনের মধ্যেই ঝাঁপ দেন আহাদ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩

আল মোক্তার গার্মেন্টস। অনেকেই বলছেন মার্কেটে সব থেকে বড় দোকানগুলোর একটি। তাদের মার্কেটে দোকান আছে চারটি ও তিনটি গোডাউন। দোকান ও গোডাউন মিলে ৭-৮ কোটি টাকার মালামাল ছিল। ঈদ উপলক্ষে আনা হয়েছে অধিকাংশ পোশাক। একটি দোকানের দায়িত্বে আছেন আব্দুল আহাদ। বাকিগুলো বাবা, চাচারা দেখাশোনা করেন। দোকানে থাকা ক্যাশবাক্স বাঁচাতে নিয়েছিলেন জীবনের ঝুঁকি কিন্তু লাভ হয়নি তার।
পোড়া মার্কেটের পাশে বসে বিলাপ করছিলেন আহাদ। তিনি হোয়াটসঅ্যাপ দেখিয়ে বলেন, আজ (গতকাল মঙ্গলবার) ছয় লাখ টাকার মাল ডেলিভারি দেবার কথা ছিল। ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, আমার বাড়ি বঙ্গবাজার মার্কেটের পাশেই। সকাল সাড়ে সাতটায় এলার্ম দেয়া। সাড়ে ছয়টার সময় চিল্লাচিল্লি। বাইরে বের হয়ে দেখি ধোঁয়া উড়তেছে। তাড়াতাড়ি মার্কেটে আসি। তখনও আমার আমার এক দোকানে পুরোপুরি আগুন লাগে নাই। আমি দৌঁড় দিয়া দোকানে যাই, ক্যাশ বাক্স আনার জন্য। কিন্তু দোকানের কাছে যাইতেই উপরের তালার একটা এসি বিস্ফোরণ হয়। আমার হাতে, পিঠে আগুনের ছ্যাকা লাগে। পুড়ে যায়। তাও আমি যাব ভিতরে কিন্তু দোকানদার এক চাচা আমারে টাইনা বাইরে নিয়া আসে।
তিনি তার ক্ষতস্থান দেখিয়ে বলেন, বাইরে আসার সাথে সাথেই উপর থেকে বিল্ডিং এর একটা অংশ খসে পড়ে। চাচা আমারে বাইর না করলে আমার মাথায় পড়ত। এরপরও ভিতরে যাইতে চাইছিলাম। ক্যাশে আমার ১৭-১৮ লাখ টাকা ছিল। কিন্তু ততক্ষণে আগুন লেগে যায়। এরপর আমি ভিতরে যাই আগুনের অংশ লাফ দিয়া কিন্তু ক্যাশবক্স আর খুঁইজা পাই নাই। এর উপর অনেক ইট, পলেস্তারা পড়ে আছে। কিন্তু আগুনের তাপ থাকায় আর বেশি সময় থাকতে পারি নাই।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com