আইপিএলের মেগা নিলামে এবার সর্বকালের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের রেকর্ড ভাঙলেন ভারতীয় ক্রিকেটার স্রেয়াশ আয়ার। গত আইপিএল বিজয়ী অধিনায়ক ছিলেন তিনি। কেকেআরের হয়ে শিরোপা তুলে ধরেছিলেন। এবারও কেকেআর চেয়েছিলো তাকেই ধরে রাখবে। যে কারণে ২ কোটির ভিত্তিমূল্য থেকে সবার আগে বিডে অংশ নেয় কেকেআর। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে স্রেয়াশ আয়ারকে জিতে নিয়েছে প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব কিংস। রীতিমতো আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ
পারিশ্রমিকের রেকর্ড গড়ে। ২৬.৭৫ কোটি রুপিতে আয়ারকে কিনেছে পাঞ্জাব।
অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক গত আসরে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ক্রিকেটার ছিলেন। তাকে ২৪.৭৫ কোটি রুপি দিয়ে গতবার কিনেছিলো কেকেআর। এবার তার চেয়ে ২ কোটি রুপি বেশি দিয়ে আয়ারকে কিনলো পাঞ্জাব কিংস।
২ কোটি থেকে শুরু হয়েছিলো আয়ারের বিডিং। কেকেআরই সবার আগে বিডিংয়ে অংশ নেয়। তাদের আইপিএলজয়ী অধিনায়ককে অন্য কেউ নিয়ে যাক, তা হয়তো চায়নি কেকেআর; কিন্তু জায়গাটা যখন উন্মুক্ত, তখন সেখানে অন্যরা কেন বসে থাকবে?
বিডিংয়ে যোগ দেয় পাঞ্জাব কিংস। তারা টার্গেট করেই বিডিং শুরু কর স্রেয়াশ আয়ারের জন্য। দ্রুতই ২ কোটি থেকে ৫কোটিতে চলে গেলে বিডিং। পাঞ্জাব কিংস সঙ্গে সঙ্গে ৬ কোটি রুপি বলে প্যাডল তুললো। সেখান থেকে ২৫ লাখ করে বাড়তে থাকে। ৭ কোটি, ৭ কোটি ২৫ লাখ, ৫০ লাখ, ৭৫ লাখ- এরপর ৮ কোটি।
এ জায়গায় এসে লড়াইয়ে যোগ দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। এক সময় ক্যাপিটালসকে আইপিএলের ফাইনালে তুলেছিলেন আয়ার। এবার দিল্লিও রেসে যোগ দিলো। এ পর্যায়ে কিছুক্ষণ লড়াই চললো কেকেআর আর দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে। দ্রুতই দাম ছাড়িয়ে গেলো ১০ কোটি রুপির মাইলফলক।
এ দুই দলেরই একজন ভালোমানের অধিনায়ক প্রয়োজন। যে কারণে লড়াইটা তুমুল হয়ে ওঠে দিল্লি আর পাঞ্জাবের মধ্যে। দেখতে দেখতে মূল্য ১৩ কোটি, ১৫ কোটি- এভাবেই বাড়তে থাকে। কিন্তু কারো থামার কোনো লক্ষ্মণ নেই। সহসাই আয়ারের মূল্য ২০ কোটি ছুঁয়ে ফেলে।
পাঞ্জাব কিংস একলাফে মূল্যটাকে নিয়ে যায় ২৩ কোটিতে। দিল্লিও ছাড় দিতে নারাজ। ২৪ কোটি, ২৪ কোটি ২৫ লাখ, ৫০ এবং ৭৫ লাখ – এভাবে বাড়তেই তাকে তার মূল্য। আইপিএলে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ছিল মিচেল স্টার্কের। সেটাকেও ছাড়িয়ে গেলেন আয়ার। ২৫ কোটি থেকে এক লাফে ২৬ কোটি রুপিতে গিয়ে থামে দিল্লি ক্যাপিটালস।
পাঞ্জাব কিংস নাছোড়বান্দা। তারা ২৬ কোটি ২৫ লাখে গিয়ে থামে। দিল্লি আর এগুনোর সাহস করেনি। পাঞ্জাব আয়ারকে পাওয়া নিশ্চিত করতে ২৬ কোটি ৭৫ লাখে গিয়ে থামে। শেষ পর্যন্ত এই দাম দিয়েই বিক্রি হয়ে গেলেন আইপিএলে গত আসরের বিজয়ী অধিনায়ক।