শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
সিএসপিএস’র উদ্যোগে যাকাত ও এর আর্থসামাজিক ব্যাবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার শ্রীমঙ্গলে ছদ্মবেশে মসলা কারখানায় হাজির এসিল্যান্ড, জরিমানা ধনবাড়ীতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা নেত্রকোণায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার ইফতার মাহফিল উলিপুরে পাটচাষি প্রশিক্ষণ কাপাসিয়ায় ‘আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের’ দোয়া ও ইফতার মাহফিল আউশধানের আবাদ বাড়াতে হাকিমপুরে বিনামূল্যে বীজ-সার বিতরণ ২৪’ঘন্টার মধ্যে ধর্ষণের আসামীকে ধরতে হবে-নাহিদ ইসলাম লালমনিরহাটের পাটগ্রামে খামারীদের মধ্যে পরিচর্যা সামগ্রী বিতরণ না করে ফিরে গেলে ইউএনও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইফতার মাহফিল সাতক্ষীরার নলতায়

ধনবাড়ীতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

জহিরুল ইসলাম মিলন (ধনবাড়ী) টাঙ্গাইল
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

কিছুদিন পরই ঈদ। চারদিকে ঈদ ঈদ আমেজ। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পরিবার-পরিজনদের জন্য কেনাকাটা। পরিবারের সদস্যদের জন্য পছন্দমতো জামা, জুতা, আনুষঙ্গিক কেনা শুরু হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ধনবাড়ীর নিউমার্কেট, সমবায় সুপার মার্কেট,তুহিন মার্কেট, ক্যামেলিয়া টাওয়ার, মামার বাড়ি শপিং কমপ্লেক্স ও বণিক সমিতির সুপার মার্কেট ঘুরে দেখো গেছে এলাকায় একসঙ্গে অনেকগুলো মার্কেট আর সব ধরনের পণ্য পাওয়ার সুবিধা থাকায় ধনবাড়ী ও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে অনেকে এখানে আসেন কেনাকাটা করতে। বিশেষত, যে কোনো উৎসব ঘিরে সেখানকার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। প্রতি বছর ঈদের আগেও দেখা যায় এমন চিত্র। ঈদ ঘিরে ভিড় বাড়ে সেখানকার মার্কেটগুলোতে। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। বলা চলে, এবার রমজানের শুরু থেকেই এসব মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। দেখা গেছে, শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ কেনাকাটা করতে এসেছেন। ক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগ মুহূর্তে মার্কেটে ভিড় বেশি থাকে, তাই ঝামেলা এড়াতে তারা আগেভাগেই কেনাকাটা করতে এসেছেন। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে প্রতি বছরই তাদের বাড়তি বিক্রির আশা থাকে। এবারও তেমনটিই আশা করছেন তারা। তবে রমজানে দিনের তুলনায় সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভিড় বেশি থাকে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। ধনবাড়ী উপজেলার কেন্দুয়া থেকে কেনাকাটা করতে সুপারমার্কেটে আসা ফাহিমা আক্তার বলেন, প্রতি বছর নিজের পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনের জন্য সুপারমার্কেট থেকে কেনাকাটা করি। কিছুদিন পর ভিড় বেড়ে যাবে। তাই আগেই কেনাকাটা সেরে ফেললাম। আরেক ক্রেতা মিনহা তাবাসসুম বলেন, আগামী সপ্তাহে গ্রামের বাড়ি চলে যাবো। এজন্য কাপড় কিনতে আসা? পরিবারের লোকজনের জন্য কিনে নিয়ে যাবো। এখানে একসঙ্গে অনেক দোকান থাকায় পছন্দমতো কেনাকাটা করা যায়। এসব মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, হালকা-পালতা ও গরমে আরামদায়ক পোশাকের দিকে বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। মার্কেটগুলোতে থ্রি-পিস ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাড়ি ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে শুরু করে আট হাজার টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। তবে এগুলো মধ্যম মানের দাম বলছেন বিক্রেতারা। এর চেয়ে বেশি দামের পোশাকও বিক্রি করছেন তারা। তবে মাঝারি দামের পোশাকের চাহিদা বেশি। দেখা গেছে, এবার সুতি শাড়ির প্রাধান্য দেখা গেল। শাড়ির জমিনে হাতের কাজ, মেশিনের কাজ, স্ক্রিন বা ব্লক প্রিন্ট, হ্যান্ড পেইন্টের মাধ্যমে ফুলপাতা আর জ্যামিতিক নকশা। এ ছাড়াও দেশি টাংগাইলে তাঁতে বোনা শাড়ি, জামদানি প্রিন্টের হাফ সিল্ক শাড়ি, সুতি শাড়ির প্রাধান্য থাকবে। হালকা সবুজ, আকাশি, ঘিয়ে, ধূসর, হালকা গোলাপি রং দেখা যাচ্ছে বেশি। এক হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে ক্রেতারা পেয়ে যাবেন হাফ সিল্ক, তাঁতের শাড়ি। সিল্ক, মসলিন বা জর্জেটের শাড়িতে এমব্রয়ডারি, কাটওয়ার্ক, পুঁতি ও জরির কাজ করা শাড়িগুলো দেড় হাজার থেকে ১২ হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। কাপড়ের পাশাপাশি ঈদের অন্যতম আকর্ষণ গয়না। গয়নার বাজারে জার্মান সিলভার ও ভারতীয় গয়নার আধিক্য রয়েছে। রুপার ওপরে মিনাকারির কাজ, কৃত্রিম মুক্তা, পাথর দিয়ে সাজানো হচ্ছে গলার মালা, কানের দুল ও চুড়ি। আছে আয়না, কাপড় ও সুতার তৈরি গয়না। ধাতু ও কাঠের তৈরি আংটিগুলোর দাম শুরু ১০০ টাকা থেকে। ২৫০ থেকে ৪০০ টাকার ভেতরেই পেয়ে যাবেন জার্মান সিলভারের গলার মালা ও কানের দুলের সেট। টানা ঝুমকা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন। ১২ পিসের এক সেট মখমল লাগানো কাচের চুড়ির দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। এ ছাড়া ৫০ টাকাতেই পেয়ে যাবেন ছিমছাম একগুচ্ছ রেশমি কাচের চুড়ি। ঈদে অনেকেই তাই জামার সঙ্গে মিলিয়ে নতুন ব্যাগ ও জুতা কেনেন। এবারের জুতা-ব্যাগের চলটা অবশ্য দেশি-পাশ্চাত্য দুটো মিলিয়েই। নকশার পাশাপাশি জুতার রং ও কাটে দেখা গেছে বৈচিত্র্য। বেশির ভাগ চলছে ইন্ডিয়ান নাগরা, দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। চামড়ার বিভিন্ন জুতাও পেয়ে যাবেন ধনবাড়ীর মার্কেটের দোকানগুলোয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত শুক্রবার থেকেই ঈদের কেনাবেচা মূলত শুরু হয়েছে। পুরোদমে বিক্রি শুরু না হলেও, অন্যবারের তুলনায় এবার কেনাবেচা ভালো হওয়ার আশা ব্যবসায়ীদের। এছাড়া ছেলেদের টি-শার্ট দেড়শ থেকে শুরু করে ৪০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। জিন্স প্যান্ট ৫০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকায় শার্ট বিক্রি হচ্ছে। মার্কেটের বাইরে ফুটপাতেও কেনাবেচার হিড়িক পড়েছে। ফুটপাতের বিক্রেতারা বলছেন, ফুটপাতে দোকান ভাড়া না থাকায় কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারেন তারা। অপেক্ষাকৃত কম দামে পণ্য পেয়ে ফুটপাতের মার্কেটে ভিড় করছেন অনেক ক্রেতা। সুপারমার্কেটের ব্যবসায়ী আলম বলেন, ঈদের আগে প্রতি বছরই আমাদের প্রত্যাশা থাকে অনেক। এবছরও প্রত্যাশা আছে। বিক্রিও ভালোই হচ্ছে। ক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন। কয়েকদিন পরে ভিড় আরও বাড়বে। আশা করছি ভালো বিক্রি করতে পারবো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com