সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কৈজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন মাস্টারের ভাতিজা শামিম ও ছালামের নেতৃত্বে গরু হাটের পুর্বে, শ্মশানের পাশ থেকে সুকৌশলে শত শত ট্রাক বালু মাটি অবৈধভাবে বিক্রী করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এর একটি অংশ চলে চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন মাস্টারের পকেটে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী। রাতে দিনে অবৈধভাবে বালু কেটে ট্রাকে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলেও কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ না করায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে। এ মাটি কেটে অবৈধভাবে বিক্রী করে কেউ কেউ রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন মাস্টারের ভাতিজা শামিম ও ছালামের নেতৃত্বে শাহজাহান, মোহাম্মদ আলী মোহামসহ কয়েকজন প্রভাবশালী সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে এক প্রকার জিম্মি করে শত শত ট্রাক বালু বিক্রী করে অসাধু উপায়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, আশপাশে বসবাস করা খুব সমস্যা হয়ে গিয়েছে। অবৈধভাবে বালু তুলে ধুলোবালুর এলাকাতে পরিনত হয়েছে পুরো এলাকা। ধুলোবালুর রাজ্যে পরিনত হয়েছে। ধুলিময় রাজ্যে বসবাস করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। এরা প্রভাবশালী হওয়ায় এদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস এলাকাবাসীর নেই। কেউ কোন প্রতিবাদ করলেই দেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি। তাই প্রতিবাদ করার সাহস নেই অনেকের। তারা আরো বলেন, চেয়ারম্যানের ভাতিজারা প্রভাব খাটিয়ে এসব অবৈধ বালুর ব্যাবসা করছে। এসব ব্যাবসার অর্থের একটি অংশ চলে যাচ্ছে চেয়ারম্যানের পকেটে। চেয়ারম্যানের পকেটে টাকা না গেলে চেয়ারম্যান অবশ্যই এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতেন। যেহেতু তিনি এসব অবৈধ বালুর ব্যাবসা বন্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না সেহেতু তিনি অবশ্যই এর সাথে জড়িত আছে দ্রুত এসব অবৈধ বালুর ব্যাবসা বন্ধ করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে, চেয়ারম্যানের ভাতিজা আব্দুস সালাম সরকারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি মাটি কেটে বিক্রি করি না। আমি মোটা বালু বাইরে থেকে কিনে এনে বিক্রি করি। এ বিষয়ে, অবৈধ বালু ব্যাবসায়ী শামিম বলেন, আমি জমির মালিকদের কাছ থেকে মাটি কিনে তারপর বিক্রী করি। জমির মালিকদের সাথে একটু ঝগরা হওয়ার কারনে ৩/৪ দিন হলো বন্ধ আছে। ২/১ দিনের মধ্যে জমির মালিকদের সাথে কথা বলে আবার বালু ব্যাবসা চালু করা হবে। এবিষয়ে, কৈজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন মাস্টার বলেন, আমি এসব ব্যাবসার খবর জানি না। টাকা পয়সাও নেইনা। আমার ভাতিজারা যদি এসব অবৈধ বালুর ব্যাবসা করে থাকে তাইলে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেব। এবিষয়ে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলে, এ ধরনের কোন কিছু হলে অবশ্যই তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।