জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জামালপুরের পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জামালপুর শহর ছাত্রলীগের সভাপতি এলিটের বিরুদ্ধে। সোমবার রাত দেড়টার দিকে শহরের মুকন্দবাড়ি এলাকার রাজিব কাউন্টার বাস কাউন্টার এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। জামালপুর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির শহরের কাচারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং জামালপুর শহর ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম মোস্তাফিজ এলিট শহরের মুকন্দবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। জামালপুর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির অভিযোগ করে বলেন-“আমাদের অফিসের পেছনে একটি পুকুর আছে। সেখানে আমরা অফিসের স্টাফরা মিলে মাছ চাষ করি। সম্প্রতি সেই পুকুর থেকে আমরা মাছ ধরি। সোমবার দুপুরে জামালপুর শহর ছাত্রলীগের সভাপতি এলিট আমার অফিসে আসে। সে আমাকে বলে-“তুই এই পুকুরে মাছ কেনো ধরস। তুই এই পুকুরে আর মাছ ধরবি না। মাথা নিচে করে অফিসে ঢুকবি আর মাথা নিচে করে অফিস থেকে বের হয়ে যাবি।” এসব বলে সে চলে যায়। এরপর রাত ১.৩৫ মিনিটের দিকে আমি অফিসের কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় রাজিব বাস কাউন্টারের সামনে এলিটসহ ১২-১৫জন আমার উপর হামলা করে। তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। এরপর স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে। আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের দাগগুলো এখনো আছে।” মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির আরো বলেন-“ঘটনার পর থেকে উল্টো এলিট তাদের সিনিয়র নেতাকর্মীদের দিয়ে আমাকে চাপে রেখেছে। ঘটনার পর পরই প্রাথমিক ভাবে এই বিচারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জামালপুরের পৌর মেয়র আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন ছানু। আমাকে মারধরের ঘটনায়, মেয়র মহোদয় শহর ছাত্রলীগ সভাপতি এলিটের পক্ষ নিয়ে বিচার করেছেন। আমি সুষ্ঠু বিচার পাই নাই। তাই আমি বাধ্যহয়ে এখন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।” এসব বিষয়ে জামালপুর শহর ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম মোস্তাফিজ এলিট বলেন-“আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির বিএনপির লোকজনকে নিয়ে জনস্বাস্থ্যের পুকুর থেকে মাছ ধরে। আমরা এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে সেদিন রাতে আমার উপর হামলা চালায় বাবু।” এসব বিষয়ে জামালপুর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সুলতান মাহমুদ বলেন-“আমি পুরো বিষয়টি শুনেছি। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”